মোহনবাগানের জোড়া গোলদাতা বলবন্ত। সঙ্গে ড্যারেল ডাফি। -ফাইল চিত্র।
মোহনবাগান ৩ (বলবন্ত-২, কাটসুমি)
শিবাজিয়ান্স ১ (মিলন সিংহ)
জেজে লালপেখলুয়া নন, এদিন ড্যারেল ডাফির সঙ্গে প্রথম দলে রাখা হয়েছিল বলবন্দ সিংহকে। কোচের ভরসার দাম দিলেন বলবন্ত। দলকে সমতায় তো ফেরালেনই সঙ্গে জোড়া গোলও করলেন। ডার্বিতে গোলশূন্য ড্রয়ের পর মুম্বই এফসির কাছেও আটকে যাওয়া। যা কিছুটা চাপে রেখেছিল চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে থাকা মোহনবাগানকে। কিন্তু সেই চাপ বেশিদিন নিতে হল না। বরং ঘরের মাঠে শিবাজিয়ান্তের বিরুদ্ধে ৩-১ গোলে জিতে জয়ে ফিরল সঞ্জয় সেন অ্যান্ড ব্রিগেড।
আরও খবর: অনুশীলন ম্যাচে বল হাতে প্রমাণ করতে ব্যর্থ ভারত ‘এ’
ম্যাচ শুরুর ৩৩ মিনিটের মধ্যেই হোম টিমকে চমকে দিয়ে গোল করে যান শিবাজিয়ান্সের মিলন সিংহ। বাঁ দিক থেকে জুয়ান কুইরোর নিচু হয়ে আসা ক্রসে প্রথম টাচেই গোল করে যান মনিপুর মিডফিল্ডার। দুই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার শেহনাজ সিংহ ও প্রণয় হালদারের মধ্যে এখনও সঠিক বোঝাপড়া গড়ে ওঠেনি। যে কারণে ৩৬ মিনিটেই শেহনাজকে তুলে প্রবীর দাসকে নামিয়ে দেন কোচ সঞ্জয় সেন। এখান থেকেই ম্যাচে ফেরে মোহনবাগান। গোল হজম করে চাপে প়ড়ে যাওয়ার বদলে ঘুরে দাঁড়ায় হোম টিম। বলবন্তের পর পর গোলে তখন এগিয়ে যাওয়ার উৎসব উধাও শিবাজিয়ান্স শিবিরে।
৪২ মিনিটে মোহনবাগানকে সমতায় ফেরান বলবন্ত সিংহ। সনি নর্ডির ব্যাকপাস ধরে ডান প্রান্ত থেকে প্রীতম কোটালের ক্রসে হেড করে শিবাজিয়ান্স গোলে বল পাঠান বলবন্ত। কিছুই করার ছিল না গোলকিপার সুব্রত পালের। মোহনবাগানের সমতায় ফেরার উচ্ছ্বাস শেষ হতে না হতেই আবার গোল বলবন্তের। ঠিক দু’মিনিটের মধ্যেই। এ বারও সেই গোলের পিছনে রয়েছে প্রীতম কোটালের ভূমিকা। বক্সের বাইরেই প্রীতমের লব ধরে আবারও দেশের সেরা গোলকিপারকে পরাস্ত করে যান বলবন্ত। প্রথমার্ধের শেষে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধ ছিল মিস আর সেভের পালা। কখনও ডাফির শট বাঁচিয়ে দেন গৌরমাঙ্গি আবার কখনও গোলের সামনে গিয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সনি নর্ডি। ৮২ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করে শিবাজিয়ান্সও। বাঁচিয়ে দেন এডুয়ার্দো। বলবন্তকে তুলে জেজেকে নামান বাগান কোচ। ম্যাচ শেষে নির্ধারিত সময় শেষের ঠিক এক মিনিট আগে ব্যবধান বাড়ান কাটসুমি ইউসা। ৩-১এ শেষ হয় মোহনবাগান-শিবাজিয়ান্স ম্যাচ। জয়ে ফেরে মোহনবাগান।