মরিয়া: গোকুলম এফসির রক্ষণ ভেঙে গোলের চেষ্টায় মোহনবাগানের তারকা স্ট্রাইকার হেনরি কিসেক্কা। শনিবার কোঝিকোড়ে। এআইএফএফ
মোহনবাগান ১ গোকুলম ১
দমদম ক্যান্টনমেন্টের উদ্বাস্তু কলোনি থেকে উঠে আসা গোলকিপার শঙ্কর রায়ের হাত শনিবার হার বাঁচল মোহনবাগানের।
অন্য দিকে আবার এটাও বলা যায়, বার ও পোস্ট জিততে দিল না শঙ্করলাল চক্রবর্তীর দলকে।
চৌম্বকে মোহনবাগান এবং গোকুলম ম্যাচের নির্যাস এটাই। কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন এবং কেরল লিগ চ্যাম্পিন—দুই রাজ্যের দুই সেরা দলের কাছেই আই লিগের প্রথম ম্যাচে জয় অধরা থেকে গেল। বিরতির আগে খেলল মোহনবাগান, পরের পয়তাল্লিশ মিনিট খেলল দক্ষিণের ক্লাবটি। ম্যাচের ফলে অবশ্য মোহনবাগান কোচ শঙ্করলাল অখুশি নন। কোঝিকোড় থেকে ফোনে বলে দিলেন, ‘‘গোকুলম যথেষ্ট শক্তিশালী দল। তাদের বিরুদ্ধে এ রকম তীব্র গরম ও আদ্রর্তার মধ্যে বাইরের মাঠ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরছি এটাই বড় ব্যাপার। আমি অখুশি নই। হেনরি এবং ওমরের পায়ের পেশীতে টান ধরায় বসিয়ে দিতে হয়েছে।’’
গতবার গোকুলমে ছিলেন হেনরি কিসেক্কা। এ বার জার্সি বদলে তিনি সবুজ-মেরুনে। উগান্ডার সেই স্ট্রাইকারই এগিয়ে দিয়েছিলেন মোহনবাগানকে। বিরতির ঠিক আগে অরিজিৎ বাগুইয়ের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল করে যান হেনরি। মোহনবাগান এগিয়ে ছিল সত্তর মিনিট পর্যন্ত। গোকুলমের সমতায় ফেরার গোল নিয়ে অবশ্য বিতর্ক আছে। রেফারির রিপোর্টে আছে গোলটি করেছেন অর্জুন জয়রাজ। কিন্তু আদতে গোলটি আত্মঘাতী। অর্জুনের হেড করা বল মোহনবাগান গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে গোলে ঢোকার মুখে সেটি বাইরে বের করতে গিয়ে নিজের গোলে ঢুকিয়ে দেন কিম কিমা।
মোহনবাগানের পিন্টু মাহাতো, দিপান্দা ডিকা, ব্রিটোর শট কখনও বার, কখনও পোস্টে লেগে ফেরে। তখন মনে হচ্ছিল কোজিকোড় থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরবে পালতোলা নৌকার সওয়ারিরা। কিন্তু গোকুলম কোচ বিনো জর্জের একটি চাল সব ওলট পালট করে দেয়। বিরতির ঠিক পরে গণি নিগমকে বদলে রাজেশকে নামিয়ে দেন বিনো। আর সেই বাড়তি ফরোয়ার্ড নামার সঙ্গে সঙ্গেই বদলে যায় কেরলের ক্লাবটির খেলা। একের পর এক আক্রমণের ঢেউয়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে মোহনবাগান রক্ষণ। পিঠ ঠেকে যাওয়া কিংসলেরা তা সামাল দিতে পারেনি। চাপের মুখে গোল খেয়ে যান। গোলে শঙ্কর না থাকলে ওই সময় আরও গোল হয়ে যেত।
মোহনবাগান: শঙ্কর রায়, অরিজিৎ বাগুই, কিম কিমা, কিংসলে ওবুমনেমে, অভিষেক আম্বেকর, পিন্টু মাহাতো, ওমর এলহুসেইনি (মেহতাব হোসেন), সৌরভ দাশ, ব্রিটো পি (আজহারউদ্দিন মল্লিক), দিপান্দা ডিকা, হেনরি কিসেক্কা (উইলিয়াম লালনুনফেলা)।