রবিবার সন্ধেয় কোয়েম্বত্তূরের ম্যাচে মোহনবাগান সমর্থকদের সঙ্গে চোখ রেখেছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরাও। কারণ, চেন্নাইয়ের বিজয়রথ মোহনবাগান আটকে দিতে পারলে আই লিগ জয়ের লড়াইয়ে পরোক্ষে লাভবান হতেন লাল-হলুদ শিবিরের সমর্থকরা।
ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে ‘মূল্যবান’ এই ম্যাচটা শেষ হয়ে গেল প্রথম ২৩ মিনিটেই। সৌজন্যে কিংসলে, কিমকিমাদের দুর্বল রক্ষণ। যেখানে না ছিল মার্কিং, না ছিল কভারিং। বিপক্ষ রক্ষণের এ রকম বেহাল অবস্থা দেখেই যেন জেগে গিয়েছিলেন চেন্নাই সিটি এফসি-র স্পেনীয় লেফ্ট উইঙ্গার নেস্তর গর্দিয়ো।
আট থেকে তেইশ—এই পনেরো মিনিটেই তিনি কার্যত শেষ করে দিলেন ম্যাচটা। নিজে একটি গোল করলেন। বাকি দু’গোল করালেন চেন্নাই আক্রমণ ভাগে তাঁর দুই স্বদেশীয় সতীর্থ সান্দ্রো রদ্রিগেস ও পেদ্রো মানজ়ি-কে দিয়ে। আর এই স্পেনীয় ত্রিভুজের কাছেই তিন গোল হজম করে খালিদ জামিলের দল শুধু তিন পয়েন্টই খোয়াল না, একই সঙ্গে ধাক্কা দিল আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের দলের আই লিগ জয়ের স্বপ্নে। অন্য দিকে, ১৮ ম্যাচের পরে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে খেতাব জয়ের দিকে আরও কিছুটা এগিয়ে গেল চেন্নাইয়ের দলটি।
ম্যাচের পরে খালিদ জামিল স্বীকারও করে নিলেন, ‘‘ওদের তিন বিদেশিই ফারাক গড়ে দিয়ে গেল। কিছু বোঝার আগেই তিন গোল হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে ম্যাচে ফিরতে পারিনি আমরা।’’
অন্য দিকে, চেন্নাই কোচ আকবর নাওয়াসের গলায় তখন স্বস্তি। তিনিও বললেন, ‘‘মোহনবাগান রক্ষণ নিয়ে আমার চিন্তা ছিল। কিন্তু আমাদের তিন স্পেনীয় ফুটবলারই সেই চিন্তা দূর করে মূল্যবান তিন পয়েন্ট এনে দিয়েছে।’’
কিংসলে ওবুমনেমে ও ওমর এল হুসেইনিদের দুর্বল কভারিংয়ের জন্যই আট মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ‘লব’ করে প্রথম গোল নেস্তরের। চেন্নাইয়ের দ্বিতীয় গোলের সময়ও ডিফেন্ডারদের ঘাড়ের কাছে নিয়ে মোহনবাগান বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন নেস্তর। ডান দিকে সান্দ্রো রদ্রিগেস অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছেন দেখে বল বাড়িয়েছিলেন তিনি। যেখান থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি সান্দ্রো। ২৩ মিনিটে চেন্নাইয়ের তৃতীয় গোলের সময় নেস্তর যখন বল নিয়ে মোহনবাগান বক্সে আক্রমণ শানিয়েছিলেন, তখন মোহনবাগান রক্ষণ দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। নেস্তরের বাড়ানো বল ধরে অবলীলায় গোল করে যান পেদ্রো মানজ়ি। এই মুহূর্তে ১৯ গোল করে তিনিই আই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
৩৭ মিনিটে উইলিয়াম লালনুনফেলা মোহনবাগানের হয়ে ব্যবধান কমালেও ম্যাচের রাশ চলে গিয়েছিল চেন্নাইয়ের দখলে।