অল্পের জন্য জয় হাতছাড়া হল সুদীপ চট্টোপাধ্যায়দের।—ফাইল চিত্র।
শনিবারের বারবেলায় যখন ইস্টবেঙ্গল ৩৮-৬, তখন ডার্বির রোমাঞ্চ অনুভব করা গেল ক্রিকেট মাঠেও। মোহনবাগান শিবিরে তখন ডার্বি জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থা থেকে বিপক্ষকে ৬০-৭০ রানে অল আউট করে দিতে পারলেও তো ম্যাচটা জেতা সম্ভব।
কিন্তু দিনের শেষে দেখা গেল অন্য ছবি। স্কোরবোর্ড বলছে, ইস্টবেঙ্গল ১৪৭-৯। মোহনবাগান শিবিরে তখন জিততে না পারার আফসোস। সান্ত্বনা বলতে একটাই, প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকা ও দ্বিতীয় ইনিংসে বিপক্ষের ৯ উইকেট ফেলে দেওয়ায় অর্জিত আট পয়েন্ট। যা নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষেই রয়ে গেল সবুজ-মেরুন শিবির। আর হার বাঁচিয়ে ইস্টবেঙ্গল পেল দু’পয়েন্ট।
মোহনবাগানের সব চেয়ে বড় বাধা হয়ে ওঠেন বাংলার রঞ্জি ওপেনার কৌশিক ঘোষ। যিনি এ দিন ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থেকে ১৪০ বলে তুললেন ৪৯ রান। মোহনবাগানের দুই পেসার নীলকণ্ঠ দাস (৩-২৮) ও অয়ন ভট্টাচার্য (৩-৫৮) শুরুতে বিপক্ষকে ধাক্কা দিলেও দিনের শেষ দুই সেশনে টেল এন্ডারদের নিয়ে কৌশিক যে লড়াই করলেন, তাতেই সুদীপ চট্টোপাধ্যায়দের জয় হাতছাড়া হল। এ ছাড়াও অবশ্য দু’টি ক্যাচ ফস্কান তাঁরা।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ছ’উইকেট পেয়ে নীলকন্ঠ ম্যাচের সেরা হলেও, সবচেয়ে কঠিন লড়াইটা করলেন অশোকনগরের এই তরুণ। সাধারণত, শুরুর দিকে নামেন। কিন্তু এ দিন হাঁটুর চোটের জন্য আট নম্বরে ব্যাট করতে নামেন কৌশিক। হাঁটুতে ব্যথা নিয়েও এই লড়াই করে যিনি বললেন, ‘‘ডার্বি মানেই সম্মানের লড়াই। তাই দলের মান বাঁচানোর কথাই মাথায় ছিল আজ। হাঁটুর ব্যথাকে সে ভাবে গুরুত্ব দিইনি। জানতাম একটু থিতু হতে পারলেই উইকেটে জমে যেতে পারব। তবে সঙ্গী ব্যাটসম্যানদের মানসিক ভাবে চাঙ্গা রাখাটাও ছিল আমার দায়িত্ব। নিজের কাজটা ঠিক মতো করতে পেরে তাই ভাল লাগছে।’’