পয়েন্ট নষ্ট করেও লক্ষ্যপূরণ বাগানের

ডার্বির খলনায়কই মলদ্বীপে এএফসি কাপের ম্যাচের আসল হিরো হয়ে গেলেন। ইনজুরি টাইমে গোল করে বাগানের মান বাঁচিয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৩৪
Share:

মাজিয়া ১ : মোহনবাগান ১
(আসাদুল্লা) (জেজে)

Advertisement

ডার্বির খলনায়কই মলদ্বীপে এএফসি কাপের ম্যাচের আসল হিরো হয়ে গেলেন। ইনজুরি টাইমে গোল করে বাগানের মান বাঁচিয়ে।

ডার্বিতে পেনাল্টি নষ্ট করে মোহনবাগানকে ডুবিয়েছিলেন জেজে। আই লিগ হাতছাড়া হওয়ার জন্য সবুজ-মেরুন সমর্থকরা বেশির ভাগই জেজেকেই দায়ী করে থাকেন। তবে বুধবার মাজিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর গোলেই খেলায় সমতা ফেরে। যার নিট ফল, এক ম্যাচ বাকি থাকতেই লিগ শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডে পৌঁছে গেল মোহনবাগান। এতে শেষ ষোলোর ম্যাচটি নিজেদের ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পাবে সঞ্জয় সেনের টিম।

Advertisement

প্রথমার্ধ্বে ম্যাচের দখল বেশিটাই ছিল সঞ্জয় সেনের ছেলেদের হাতে। ভাল কিছু গোলের সুযোগও নষ্ট করেন কর্নেল গ্লেনরা। জেজের করা একটি গোল অফ সাইডের জন্য বাতিলও হয়। তবে বিরতির পর মোহনবাগানের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ছিল মাজিয়া। এমনকী আসাদুল্লা আবদুল্লার গোলে এগিয়েও যায় মলদ্বীপের টিম। গোল খাওয়ার পরও কিন্তু মোহনবাগানকে সে ভাবে তেড়েফুঁড়ে গোলশোধের চেষ্টা করতে দেখা যায়নি। জেজে গোলশোধ না করলে এ বার এএফসি কাপে প্রথম হারের মুখ দেখতে হত বাগানকে। সঞ্জয় অবশ্য বলছেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্যপূরণ হয়েছে। আর কী চাই। আমি তো এই ম্যাচে অনেক পরীক্ষানিরীক্ষা করেছি। ওর চোটের জায়াগায় অস্বস্তি হচ্ছিল বলে সনিকেও খেলানোর ঝুঁকি নিইনি।’’

গরম বেশ ভালই মলদ্বীপে। খেলার মাঝে তাই এক বার জলপানের জন্য অতিরিক্ত বিরতি দেওয়া হয়। একেই গরম, তার উপর ফেড কাপ প্রায় দোরগোড়ায়। সে জন্য এ দিন সনি, লেনি রডরিগেস, প্রবীর দাস, প্রীতম কোটালদের প্রথম একাদশেই রাখেননি বাগান কোচ। শৌভিক ঘোষকে গ্লেনের পরিবর্তে মাঠে নামিয়েছিলেন। চোট সারিয়ে ওঠার পর এটাই ছিল শৌভিকের প্রথম ম্যাচ। মোহনবাগানের পারফরম্যান্সে তাই একেবারেই হতাশ নন সঞ্জয়। কারণ তাঁর লক্ষ্য এখন একটাই, ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন করা টিমকে। মলদ্বীপ থেকে ফোনে বলছিলেনও, ‘‘আমরা যে ভাবে আই লিগের মাঝে দেশের বাইরে গিয়ে এএফসি কাপের ম্যাচ খেলেছি, তার পরও ছেলেরা কিন্তু ফোকাস হারায়নি। টানা ম্যাচ খেলার ধকল উপেক্ষা করে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’’

এ দিন ম্যাচ চলাকালীন কাফ মাসলে টান ধরায় মাঠ ছাড়তে হয়ে গ্লেনকে। সঞ্জয় বালমুচিও চোট পান। তবে পরিবর্তনের কোটা পূরণ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে পুরো ম্যাচেই মাঠে থাকতে হয়েছে। সঞ্জয় জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘ওদের চোট গুরুতর নয়। তিন-চার দিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে। ফেড কাপে আশা করছি পুরো টিমই পাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন