প্রথম দিন অনুশীলনে ডুডুর সঙ্গে ক্রোমা।
ইস্টবেঙ্গলের ট্রায়ালে নেমে প্রথম দিনই নজর কাড়লেন আনসুমানা ক্রোমা। আর লাল-হলুদ শিবিরে ক্রোমার নজর কাড়ার দিনেই সনি নর্দের বিকল্প পেয়ে গেল মোহনবাগান। নেপালের জাতীয় দলের স্ট্রাইকার বিমল ঘারতি মগর-কে দেখা যাবে সবুজ-মেরুন জার্সিতে। নেপাল ফুটবলে বিমল-কে ‘বিষ্ময় বালক’ বলা হতো। ইউরোপের বিখ্যাত ক্লাব আন্ডারলেখট-এর যুব দলে খেলেছেন তিনি।
আই লিগের মাঝপথে লাইবিরিয়ার স্ট্রাইকার ক্রোমাকে ছেঁটে ফেলেছিল মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গলও ছেড়ে দেয় চার্লস ডি’সুজা ও উইলিস প্লাজা-কে। চার্লসের বিকল্প হিসেবে ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন ডুডু ওমাগবেমি। প্লাজার পরিবর্ত হিসেবে ক্রোমাকে ট্রায়ালে ডাকে ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট। লাল-হলুদ জার্সি গায়ে শনিবারই প্রথম মাঠে নামলেন মোহনবাগানের বাতিল স্ট্রাইকার।
এ দিন সকালে বারাসত স্টেডিয়ামে অনুশীলনে ক্রোমার পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট টেকনিক্যাল ডিরেক্টর মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘ক্রোমার ব্যাপারে কোচের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে রবিবার অনুশীলনে ওকে আরও একবার দেখার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ক্রোমা অনেকটা মহম্মদ আল আমনার মতোই খেলে। মাঝমাঠে খেলা তৈরি করে। ওর খেলা আগেও দেখেছি। মনে হয় না ওকে নিলে কোনও সমস্যা হবে।’’
ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ আই লিগের শীর্ষে থাকা মিনার্ভ এফসি-র বিরুদ্ধে মঙ্গলবার। এই ম্যাচের উপরেই নির্ভর করছে খালিদ জামিলের দলের আই লিগ ভাগ্য। এ দিন অ্যাওয়ে ম্যাচে নেরোকা এফসি-কে ১-০ হারিয়েছে মিনার্ভা। গোলদাতা সেই চেঞ্চো গেলৎসেন। উদ্বিগ্ন মনোরঞ্জন বলেছেন, ‘‘মিনার্ভা নিঃসন্দেহে শক্তিশালী দল। না হলে ওরা এতগুলো ম্যাচ জিততে পারত না। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত খেলেছে মিনার্ভা।’’
লাল-হলুদ শিবিরে চিন্তা বাড়িয়েছে আমনার চোটও। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আই লিগের ফিরতি ডার্বিতে হাঁটুতে চোট পান লাল-হলুদ মিডফিল্ডার। অস্ত্রোপচার করতে না হলেও সপ্তাহ দু’য়েক মাঠের বাইরেই থাকতে হবে তাঁকে। এ দিন অবশ্য বারাসত স্টেডিয়ামে ছিলেন তিনি। তবে অনুশীলন করেননি। আমনা বলেছেন, ‘‘চিকিৎসকের পরামর্শে এখন শুধু জিম করছি। মাঠে ফিরতে আরও দিন দশেক হয়তো লাগবে। আশা করছি, মিনার্ভার বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে (১৩ ফেব্রুয়ারি) খেলতে পারব।’’
লাল-হলুদে ক্রোমার নতুন ইনিংস শুরুর দিনেই আইজল এফসি ম্যাচের ঘটনা নিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে চিঠি দিল মোহনবাগান। আই লিগে গত বৃহস্পতিবার মোহনবাগান বনাম আইজল এফসি ম্যাচকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল পরিস্থিতি। আইজল সমর্থকদের ক্ষোভের জেরে ম্যাচের পর প্রায় আধঘণ্টা মাঠ ছেড়ে বেরোতে পারেননি ফুটবলাররা। আটকে পড়েন রেফারি, লাইন্সম্যানরাও। পুরো ঘটনার উল্লেখ করে এ দিন আই লিগের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) সুনন্দ ধরকে চিঠি লেখেন সবুজ-মেরুনের অর্থ-সচিব।