চোটে জেরবার বাগানের দুই স্তম্ভ সনি, ক্রোমা।
পাঁচ গোলে দুরন্ত জয়। ডার্বি জিতে পরের ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করার আতঙ্ক থেকে মুক্তি। কিন্তু প্রথম দলের চার ফুটবলারের চোটের ধাক্কায় হাসি উধাও মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেনের মুখ থেকে।
রবিবার বারাসত স্টেডিয়ামে চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের তিন মিনিটেই কাঁধে চোট পেয়ে লুটিয়ে পড়েন ইউতা কিনোয়াকি। মাঠ থেকেই সরাসরি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অস্ত্রোপচার অবশ্য করতে হয়নি তাঁর। যদিও তিন সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেলেন জাপানি মিডফিল্ডার।
৬২ মিনিটে গোড়ালিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার অরিজিৎ বাগুই। তিন মিনিট পরে কুঁচকিতে চোট পেয়ে বেরিয়ে আসেন আনসুমানা ক্রোমা। আর ৮৪ মিনিটে গোল করতে গিয়ে ডান হাঁটুতে আঘাত পান সনি নর্দে।
আরও পড়ুন: চার্চিল বধ করে লিগ শীর্ষে মোহনবাগান
বারাসতের কৃত্রিম ঘাসের মাঠ নিয়ে শনিবারই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন সনি। তাঁর আশঙ্কা যে অমূলক নয়, প্রমাণ হয়ে গেল। হতাশ মোহনবাগান অধিনায়ক বললেন, ‘‘মাঠের জন্যই চোট পেয়েছি। হাঁটুতে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে।’’
সাংবাদিক বৈঠকে মোহনবাগান কোচ খোলাখুলিই বললেন, ‘‘একেবারেই সুখে নেই। প্রচণ্ড উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি। পাঁচ গোলে জেতা ম্যাচে এতগুলো চোট দলের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই পরিস্থিতিতে পাঁচ গোলে জেতার আনন্দ উপভোগ করার প্রশ্নই নেই।’’
বারাসত স্টেডিয়ামের কৃত্রিম ঘাসের মাঠই কী ফুটবলারদের চোটের জন্য দায়ী? সঞ্জয় বললেন, ‘‘অন্যতম একটা কারণ তো বটেই। সনি তো শনিবারই মাঠ নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল সাংবাদিক বৈঠকে। তবে কিছু করার নেই। আমাদের এই মাঠেই তিনটে ম্যাচ খেলতে হবে।’’ চার ফুটবলার চোট পেলেও মাঠ বদল করার কোনও ইঙ্গিত অবশ্য পাওয়া যায়নি সবুজ-মেরুন শিবিরে। সঞ্জয়ের কথায়, ‘‘মাঠ বদল করা আমার হাতে নেই। ক্রীড়াসূচি অনুযায়ী আমরা খেলব।’’ সবুজ-মেরুনের এক কর্তাও মাঠ বদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন।
মোহনবাগান কোচের চিন্তা পাঁচ গোল জয় ফুটবলারদের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে পারে। সঞ্জয় বললেন, ‘‘ডার্বি জিতে ফুটবলাররা যাতে আত্মতুষ্ট হয়ে না পড়ে তার জন্য সতর্ক ছিলাম। সব সময় ওদের বোঝাতাম। এখনও সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, পাঁচ গোলে জয়ের পর ফুটবলাররা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারে। সোমবার থেকেই আমার কাজ শুরু হবে।’’