কোচ সঞ্জয় সেনের সঙ্গে গোলদাতা বলবন্ত সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।
মোহনবাগান ১ (বলবন্ত)
চার্চিল ০
ইস্টবেঙ্গল পারেনি কিন্তু আই লিগ জয় দিয়েই শুরু করল গঙ্গাপারের ক্লাব। যদিও প্রথম ম্যাচে জিতলেও এখনই দল নিয়ে বলার সময় আসেনি। একে তো ম্যাচের একদিন আগে মাঠ নাটকে অনেকটাই সমস্যায় পড়তে হয়েছিল ক্লাব কর্তাদের। যদিও তার প্রভাব প্লেয়ারদের উপর পরার কথা নয়। সকলেই প্রায় বারাসত স্টেডিয়ামের টার্ফে খেলে অভ্যস্ত। যা সমস্যায় পড়তে হয়েছে সেটা সমর্থকদের। আই লিগের প্রথম ম্যাচে চেনা ছকেই দল সাজিয়েছিলেন বাগান কোচ সঞ্জয় সেন। ৪-৩-৩এ বলবন্ত, ডাফি, কেন লুইসের ত্রিফলা আক্রমণে শুরুতেই গোল তুলে এগিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। ঘরের মাঠে ওটাই আত্মবিশ্বাসের কাজ করেছিল। ২৮ মিনিটে উইং ধরে প্রীতম কোটালের দৌঁড় যেখানে গিয়ে থামল সেখান থেকে সেই মাপা ক্রসে বলবন্তের মাথার ছোট্ট টোকায় লেখা হয়ে গিয়েছিল বাগান-চার্চিল ম্যাচের কাহিনী।
তার আগেই অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে ডাফির নিশ্চিত গোলের সুযোগ প্রতিহত করেছেন চার্চিল গোলকিপার প্রিয়ন্ত সিংহ। এর পর একাধিকবার সুযোগ তৈরি করেও গোলের মুখ খুলতে পারেননি ডাফি। তার মধ্যেই শুভাশিস বোসের ৬৪ মিনিটে জোড়া হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পর তেমনভাবে আর আক্রমণে উঠতে পারেনি মোহনবাগান। বরং রক্ষণ সামলাতে কেন লুইসকে তুলে প্রবীর দাসকে নামিয়ে দিয়েছিলেন সঞ্জয় সেন। পরে ডাফিকে তুলে বিক্রমজিতকেও নামিয়ে দেন কোচ। তাতে আর গোল না এলেওগোল হজমও করতে হয়নি।
যদিও অতিরিক্ত সময়ে চার্চিলের অ্যাঞ্জেলো কোলাসোর ফ্রিকিক ক্রসবারের লেগে না বেরিয়ে গেলে ফলাফল অন্যরকমও হতে পারত। তাঁর ঠিক আগে গোলের সামনে কোলাসোর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন দেবজিৎ কোনও রকমে গোলের সামনে খেলে বল ক্লিয়ার করেন সৌভিক চক্রবর্তী। জেজেকে এদিন বেঞ্চে বসেই থাকতে হল। ম্যাচ শেষে অবশ্য পুরো তিন পয়েন্ট নিয়েই বাড়ি ফিরল মোহনবাগান সমর্থকরা।
এদিন আই লিগের তিনটি ম্যাচ ছিল। অন্য ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল আই লিগের নতুন দুই দল চেন্নাই সিটি ও মিনার্ভা পঞ্জাব। সমানে সমানে লড়ে ম্যাচ শেষ হয় গোলশূন্য ভাবেই। মুম্বই এফসি ১-০ গোলে হারিয়ে দেয় শিবাজিয়ান্সকে। মুম্বইয়ের হয়ে গোলটি করেন থই সিংহ।
আরও খবর: প্রথম দিনে জমল না মর্গ্যান শো