কর্তারা তাঁকে নিতে আগ্রহী। তিনি নিজেও খেলতে রাজি। তা সত্ত্বেও ডুডু ওমাগবেমিকে নেওয়া নিয়ে মোহনবাগানে টানাপড়েন চলছে!
ইস্টবেঙ্গলের ছেড়ে দেওয়া নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকারের বাগানে যোগদান এই মুহূর্তে আর্থিক সমস্যার কারণেই মূলত আটকে রয়েছে। ডুডু যে পরিমাণ টাকা চেয়েছেন সেটা দিতে রাজি নন বাগান কর্তারা। বরং তাঁরা যে টাকার প্রস্তাব ডুডুর কাছে রেখেছেন সেটা নিয়েই এখন দু’পক্ষের আলোচনা চলছে। আর্থিক সমস্যার জন্যই এই মরসুমে ইস্টবেঙ্গল তাঁকে নিতে পারেনি। এই মুহূর্তে ডুডুর কোনও ক্লাব নেই। স্বভাবতই তিনি নতুন ক্লাবের সন্ধানে। বাগান কোচ সঞ্জয় সেনও কর্তাদের কাছে এক জন ভাল বিদেশি স্ট্রাইকার চেয়েছেন।
যদিও ডুডুকে আপাতত কলকাতা লিগের চার মাসের জন্যই ভাবা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্র্যাকটিসের পর সঞ্জয় বললেন, ‘‘ডুডু এলে তো ভালই হবে। ওর এজেন্ট এসেছিল। কথাও হয়েছে। তবে একজন ফুটবলার নেওয়ার পিছনে কিছু ফ্যাক্টর কাজ করে। নিয়ম থাকে। সব ঠিকঠাক থাকলে তবেই পছন্দসই ফুটবলার নেওয়া যায়।’’
এ দিকে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রে খেলা কেন লুইসকে এখনও সবুজ সঙ্কেত না দিলেও পছন্দ হয়েছে সঞ্জয়ের। সম্ভবত লুইসকে সই করানোও হবে সবুজ-মেরুনে। এ দিন সিসিএফসি-র সঙ্গে এ মরসুমের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ ৫-০ গোলে জিতল সঞ্জয় সেনের টিম। যে ম্যাচে আবার হ্যাটট্রিক করেছেন কেন। ট্রায়ালে আসা ঘানার স্ট্রাইকার স্যামুয়েলও এ দিন গোল করেন। তবে তাতেও তিনি কোচের মন জয় করতে পারেননি বলে সূত্রের খবর। শনিবার ভবানীপুরের বিরুদ্ধে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলার কথা বাগানের। ওই ম্যাচের পরেই সম্ভবত কেন ছাড়া ট্রায়ালে আসা বাকি বিদেশিদের ছেড়ে দেওয়া হবে।