‘আ রাহি হু ম্যায়, আপনে দেশ আপনে ঘর!’ রিও থেকে ভারতের আকাশে পাড়ি দেওয়ার আগে এটাই টুইট করলেন দেশের হয়ে রিও অলিম্পিক্সে প্রথম পদক জেতা কুস্তিগীর সাক্ষী মালিক। বুধবার দেশের মাটিতে পা রাখবেন পঞ্জাবের এই মেয়ে। তাঁর আসার অপেক্ষায় পুরো দেশ। সেজে উঠেছে গ্রাম। সাক্ষী আগেই টের পেয়েছেন তাঁকে ঘিরে কী হতে চলেছে। রিওতে বসেই শুনেছেন, দীপা, সিন্ধুদের ঘিরে গোটা দেশের উচ্ছ্বাসের খবর। তাকে ঘিরেও যে সেই একই দৃশ্য দেখা যাবে তা বলাই বাহুল্য। কারণ হতাশার অলিম্পিক্সে প্রথম পদক এনে ভারতের মুখে হাসি ফুটিয়েছিলেন সাক্ষীই।
ব্রোঞ্জ পদক জয়ী কুস্তিগীরের গ্রাম রোহতকের মোখড়া একটা সময় গ্রামের মেয়ের এই কুস্তির আখরায় যাওয়া মেনে নিতে পারেনি। অনেক কথা শুনতে হয়েছিল। টিটকিরি, কটুক্তি সবই ছিল তার অঙ্গ। আজ সেই গ্রামই সাক্ষীর নামে আজ গর্বিত। তৈরি হচ্ছে ঘরের মেয়েকে বরণ করে নিতে। রাজধানী দিল্লি হয়ে নিজের গ্রামে যাবেন তিনি। বুধবার ভোর ৩.৫০ এ নয়া দিল্লির মাটি স্পর্শ করার কথা সাক্ষীর। হরিয়ানার একাধিক মন্ত্রী থাকবেন সাক্ষীকে নিজের গ্রামে নিয়ে যেতে। খোদ হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর থাকবেন সাক্ষীর গ্রামে। সেখানেই তাঁকে সংবর্ধিত করা হবে। যার জন্য বিরাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এই অনুষ্ঠান দেখতে পাবেন। রাজ্য সরকারে তরফে সাক্ষীর হাতে তুলে দেওয়া হবে আড়াই কোটি টাকা।
দিল্লি হরিয়ানা বর্ডার থেকেই শুরু হবে হুড খোলা গাড়িতে সাক্ষীর যাত্রা। বিশ্বের দরবারে ইতিহাস তৈরি করে ফেরা মেয়েকে ঘিরে আজ রাত জাগবে গোটা রোহতক। মোখরা গ্রামের নাম ওরফে ‘পহেলওয়ান ভিলেজ’। যাকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করালেন এক মেয়ে।
সাক্ষীর টুইট
আরও খবর
রিওতে মরে যেতে পারতাম: ওপি জৈশা