প্রার্থনা: মর্গ্যান-ওয়েডসনদের ভরসা এখন শুধুই অঙ্ক। —ফাইল চিত্র।
শিলিগুড়িতে মোহনবাগানের কাছে আই লিগের ফিরতি ডার্বিতে হারের পর লাল-হলুদ সমর্থকরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু অঘটনের অপেক্ষায় কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান!
১৫ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের শীর্ষে এই মুহূর্তে মোহনবাগান। পয়েন্ট সমান হলেও গোল পার্থক্যে দু’নম্বরে আইজল এফসি। দু’দলেরই তিনটি করে খেলা বাকি। লাল-হলুদ কোচের ব্যাখ্যা, ‘‘শেষ তিনটি ম্যাচ জিতলে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট হবে ৩৬। কিন্তু মোহনবাগান ও আইজল যদি দু’টো ম্যাচ হেরে যায়। এবং নিজেদের মধ্যে ড্র করে, তা হলে ওরা শেষ করবে ৩১ পয়েন্টে। তখন আমরাই চ্যাম্পিয়ন।’’
ডার্বি বিপর্যয়ের পর থেকেই অগ্নিগর্ভ লাল-হলুদ অন্দরমহল। কোচের ভবিষ্যৎ শুধু অনিশ্চিত হয়ে পড়েনি, ফুটবলারদের দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে টানা তিনটি ম্যাচ কি জেতা সম্ভব? ঘনিষ্ঠ মহলে মর্গ্যান বলেছেন, ‘‘অঘটন ঘটতেই পারে। কারণ, ফুটবলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। যেকোনও মুহূর্তে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। তাই একেবারে হাল ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে আমি নেই। শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’’
ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ ডিএসকে শিবাজিয়ান্স এফসি-র বিরুদ্ধে বারাসত স্টেডিয়ামে। বৃহস্পতিবার ফুটবলারদের বিশ্রাম দিয়েছিলেন মর্গ্যান। আজ, শুক্রবার থেকে শিবাজিয়ান্স-বধের প্রস্তুতি শুরু করবেন তিনি।
পুণেতে প্রথম পর্বের ম্যাচে ২-১ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। জোড়া গোল করে নায়ক হয়েছিলেন উইলিস প্লাজা। ডার্বিতে হারের জন্য অবশ্য ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোর স্ট্রাইকারকেই দায়ী করেছেন ব্রিটিশ কোচ। কারণ, প্লাজা ৬৬ মিনিটে লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যাওয়ার পর দশ জনের ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। শিবাজিয়ান্সের বিরুদ্ধে প্লাজা নেই। যদি তা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন লাল-হলুদ কোচ। তাঁর যুক্তি, ‘‘যে নেই তাকে নিয়ে ভাবার মতো অবস্থা আমাদের নেই। যারা আছে তাদের নিয়েই জেতার জন্য ঝাঁপাতে হবে।’’
মোহনবাগানের কাছে হারের ফলে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ফুটবলারদের উজ্জীবিত করা কতটা কঠিন এই মুহূর্তে? মর্গ্যান বলেছিলেন, ‘‘ফুটবলাররা এখন নিজেদের তাগিদেই জয়ের জন্য ঝাঁপাবে। তাই ওদের আলাদা করে উজ্জীবিত করার প্রয়োজন নেই।’’