বেঙ্গালুরু ১৭০/৭ (২০ ওভার)
মুম্বই ১৭১/৪ (১৮/২০ ওভার)
১২ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে দিল মুম্বই
শুরু করলেন রোহিত শর্মা, শেষ করলেন পোলার্ড। আর সেই পোলার্ডের বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারির দাপটে কঠিন পরিস্থিতিকে সহজ করেই জয়ে ফিরল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রোহিতের কাছে ৬ উইকেটে পরাস্ত হতে হল বিরাটকে। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এদিনও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে শুরুতে ভরসা দিয়ে গেলেন বিরাট কোহলিই। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রানই তুলতে সক্ষম হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ওপেন করতে এসে বিরাট কোহলির ৩০ বলে ৩৩ রান ও লোকেশ রাহুলের ১৪ বলে ২৩ রানের সুবাদে শক্ত ভীত তৈরি করার দিকে এগোলেও বড় রানের ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন বেঙ্গালুরু ব্যাটসম্যানরা। তিন নম্বরে ব্যাট করতে এসে এবি ডি ভিলিয়ার্স ২৯ রান করে প্যাভেলিয়নে ফিরে গেলে ত্রাভিস হেড ও সরফরাজ খান এসে বেঙ্গালুরু ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন। হেড করেন ৩৭ ও সরফরাজের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। ক্রুনাল পাণ্ডে একই ওভারে পর পর প্যাভেলিয়ন পাঠান বিরাট কোহলি ও ডি ভিলিয়ার্সকে।
মুম্বইয়ের হয়ে হার্দিক পাণ্ডে উইকেট না পেলে তা পুষিয়ে দেন তাঁর ভাই ক্রুনাল পাণ্ডে। বেঙ্গালুরুর গুরুত্বপূর্ণ দুটো উইকেট তুলে ১৭০ এ তাদের আটকে দেওয়ার মূল বোলার তিনিই। কারণ এই দুই ব্যাটসম্যান ক্রিজে টিকে গেলে যে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে সেটা আর বলার প্রয়োজন নেই। তিন উইকেট নেন বুমরাহ। একটি উইকেট ম্যাকক্লেনাঘানের।
জবাবে ব্যাট করতে এসে ২ ওভার বাকি থাকতেই ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের রান তুলে নিল মুম্বই। মু্ম্বই ইনিংসের শুরুটাই দারুণভাবে করে যান রোহিত শর্মা। ৩টি ওভার বাউন্ডারি ও ৪টি বাউন্ডারির সৌজন্যে ৪৪ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন মুম্বই অধিনায়ক। আর এক ওপেনার পার্থিব পটেল অবশ্য ভরসা দিতে পারেননি। এর পর অম্বাতি রায়ডু এসে হাল ধরেন ইনিংসের। করেন ৩১ রান। বাটলারের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। বেঙ্গালুরুর হয়ে ৩ উইকেট নেন ইকবাল আবদুল্লাহ। ১৯ বলে ৪০ রান করে জয় এনে দিলেন পোলার্ড।
আরও খবর
দেশে ফিরলেন গেইল, খেলতে পারবেন না দুটো ম্যাচ