রাজকোটের রাজা। ছবি: রয়টার্স।
জো রুট, মইন আলি, ক্রিস ওকসের উত্তর মুরলি বিজয়, চেতেশ্বর পূজারা। দু’দিনে তিনটি সেঞ্চুরির উত্তরে দুই সেশনেই দু’টি শতরান। যার জেরে ইংল্যান্ডের রানের পাহাড়ের সামনে দাঁড়িয়েও কিছুটা স্বস্তিতে ভারত।
ইংল্যান্ডের পর্বত প্রমাণ ৫৩৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারত পৌঁছেছিল ৬৩ রানে। অপরাজিত ছিলেন দুই ওপেনার মুরলি বিজয় এবং গৌতম গম্ভীর। বৃহস্পতিবারের পড়ন্ত বিকেলে মইন আলির বল কিছুটা স্পিন করতে থাকায় সিঁদুরে মেঘ দেখেছিলেন বেশির ভাগ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞই। এমনকী এ দিন খেলা শুরুর আগে পিচ দেখে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বেশ অসুবিধা হবে বলেই রায় দিয়েছিলেন নাসের হুসেন থেকে সুনীল গাওস্কর। এমনকী রিভার্স সুইংয়ের ভয়ও পাচ্ছিলেন গাওস্কর। বিশেষজ্ঞদের যাবতীয় আশঙ্কা প্রায় সত্যি করে দিয়ে দিনের দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন গম্ভীর। ব্রডের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। এর পরই ইনিংসের হাল ধরেন বিজয়-পূজারা জুটি। তৃতীয় উইকেটে ২০৯ রানের পার্টনারশিপ ভারতীয় ইনিংসের ভিত গড়ে দেয়। সেঞ্চুরি করেন দুই ডানহাতিই। ১৬ ইনিংস পর সেঞ্চুরি করলেন বিজয়। ন’টা বাউন্ডারি এবং চারটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। বিজয়ের চেয়ে স্ট্রাইক রেট বেশি থাকলেও তুলনায় নড়বড়ে দেখিয়েছে পূজারাকে। স্টোকসের বলে আউট হওয়ার আগে ১২৪ রান করেন তিনি। বিজয় করেন ১২৬।
৩১৮ রানে দু’উইকেটে যখন দিনের খেলা প্রায় শেষ, তখনই পর পর দু’উইকেট হারায় ভারত। বিজয়ের পরেই আউট হন নাইট ওয়াচম্যান অমিত মিশ্র। দিনের শেষে ভারত ৩১৯/৪। ইংল্যান্ডের চেয়ে পিছিয়ে ২১৮ রানে। ২৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন কোহালি।
আরও পড়ুন:
অশ্বিনরা সব সময় উড়িয়ে দেবে হয় নাকি