অস্ত্র তাঁর কাটার। সঙ্গে বাড়তি পাওনা ইয়র্কার। গত বছর টি২০ ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক অভিষেকেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিজের প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে দিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ভারতের বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচে অভিষেকে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন। প্রথম ম্যাচেই তাঁর বলের শিকার হয়েছিলেন ধোনির দলের পাঁচ ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় ম্যাচে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ছয়ে। অভিষেকে পর পর ২ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়ে চমকে দেওয়া এই বাংলাদেশী বোলারের চমক দেখতে প্রস্তুত আইপিএল-এর দর্শকরা। তখনই তৈরি হয়ে গিয়েছিল মঞ্চ। ভারতকে হারিয়ে অভিনন্দন পেয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও সুরেশ রায়নার। তিনি যে আইপিএল-এ দল পাবেন এমন আশার কথা সেই সময়ই শুনিয়েছিলেন স্বয়ং ধোনি। সত্যি হল সে কথা।
এক বছরে মাত্র ন’টি ওয়ানডে ম্যাচে ২৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের এই বিস্ময় বালক ঢুকে পরেছিলেন আইসিসির বর্যসেরা একদিনের দলে। ৫০ লাখ টাকা বেস প্রাইজ থেকে তিনি শেষ পর্যন্ত বিক্রি হলেন ১ কোটি ৪০ লাখে। বেঙ্গালুরু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পর মুস্তাফিজুরকে কিনে নেয় হায়দরাবাদ সানরাইজার্স। আইপিএল-এর নিলামে বিক্রি হননি তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও সৌম্য সরকার। নিলামে ওঠা বাংলাদেশের চার ক্রিকেটারের মধ্যে বিক্রি হয়েছেন একমাত্র মুস্তাফিজুরই। আবদুর রজ্জাক, আশরাফুল, মাশরাফি, সাকিব ও তামীমের পর আইপিএল-এ বাংলাদেশের ষষ্ঠ বাংলাদেশী তিনিই। আইপিএল সানরাইজার্স হায়দরাবাদে দল তাঁকে নেওয়ার খবরে উচ্ছ্বসিত মুস্তাফিজুর। বলেন, ‘‘খুব ভাল লাগছে। আশা ছিল আইপিএল-এ খেলার সুযোগ পাব। সবাই বলাবলি করছিল আমাকে এবার নিতে পারে। সাকিব ভাই খুব ভাল খেলেছেন ওখানে, এটাও আমাকে বেছে নেওয়ার কারণ।’’
গত মরশুমে ঢাকা প্রিমিয়র ডিভিশন ক্রিকেট লিগে পাঁচ লাখ টাকায় আবাহনীতে খেলা মুস্তাফিজুর বাংলাদেশ প্রিমিয়র লিগে খেলেন ২২ লাখ টাকায় ঢাকা ডায়নামোসে। এবার আইপিএল-এ তিনি ছাপিয়ে গিয়েছেন কোটি টাকার অঙ্ককে। বলেন, ‘‘টাকার অঙ্ক নিয়ে কোনও কথা বলতে চাই না। কত দাম পাব তা নিয়ে ভাবিনি। আমি শুধু চেয়েছিলাম আইপিএল-এ খেলতে। এরকম বড় আসরে খেলার সুযোগ পাওয়াটাই বড় অভিজ্ঞতা। সুযোগ পেয়েছি এতেই আমি খুশি। এবার শুধু নিজের সেরাটা দিতে হবে।’’
আরও খবর
আইপিএলে দামি এঁরা, কে কত পেলেন?
দর পেলেন না, দল পেলেন না