অ্যাশেজ গর্জন লায়নের

ব্রিসবেনে পাঁচ উইকেটে জিতে এসে অ্যাডিলেডে এসে আত্মবিশ্বাসে ফুটছে অস্ট্রেলিয়া দল। সেই আত্মবিশ্বাসের গরমেই বোধহয় আরও ফুটছেন লায়ন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:৩৫
Share:

অ্যাডিলেডে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের আগে আবহাওয়া গর করা শুরু করে দিলেন নাথান লায়ন। তিনি ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন, পারলে তাঁর বলে আক্রমণ করুক ওঁরা।

Advertisement

ব্রিসবেনে পাঁচ উইকেটে জিতে এসে অ্যাডিলেডে এসে আত্মবিশ্বাসে ফুটছে অস্ট্রেলিয়া দল। সেই আত্মবিশ্বাসের গরমেই বোধহয় আরও ফুটছেন লায়ন। যিনি প্রথম টেস্টে পাঁচ উইকেট নিয়ে স্টিভ স্মিথের অন্যতম বড় ভরসা হয়ে উঠেছেন। ব্রিসবেনের উইকেটে সাধারণত পেসাররাই সাহায্য পান। সেখানে লায়নের দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া এবং ওভার প্রতি তিনি গড়ে আড়াইয়ের চেয়েও কম রান দেওয়ায় অ্যাডিলেডের দিন-রাতের টেস্টেও তাঁর দিকেই তাকিয়ে সবাই। লায়ন এ বার বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘‘ব্যাটসম্যানরা যখন আমার বল মেরে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, তখন আমি সেটা খুব উপভোগ করি। ইংরেজ ব্যাটসম্যানরা আশা করি পরের টেস্টে আমার জন্য আরও ভাল পরিকল্পনা নিয়ে নামবে।’’ অ্যাশেজের শুরু থেকেই বিতর্কে রয়েছেন লায়ন। প্রথম টেস্টের আগেই তিনি বলেছিলেন, ইংল্যান্ডের কয়েকজন ক্রিকেটারের অবসরের কারণ হয়ে উঠতে চান তিনি। এমনকী তাঁর প্রাক্তন ক্লাব সতীর্থ জো রুটের জন্যও ছিল এমনই বার্তা।

আরও পড়ুন: সন্তানদের জন্য টাইগার ফের গল্ফ কোর্সে

Advertisement

যদিও রুট সম্পর্কে সুর কিছুটা নরম করে ফেলেছেন লায়ন। যেহেতু অ্যাডিলেডের যুদ্ধটা হবে গোলাপী বলে, তাই রুট বলছেন, ‘‘গোলাপী বলে ওদের বোলাররা কিছুটা হলেও সুবিধা পেতে পারে। জানি ওরা পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবেই আমাদের দিকে। এই ম্যাচটা তাই অতটা সোজা হবে বলে মনে হয় না।’’ প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেলও একই কথা বলেছেন এক অজি ক্রিকেট ওয়েবসাইটে। তাঁর বক্তব্য, অ্যাডিলেডের উইকেটে যেখানে ঘাস রয়েছে, সেখানে গোলাপী বল ইংল্যান্ডকে সাহায্য করবে। তাঁর মতে, ‘‘এটাই ইংল্যান্ডের এই সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর সেরা সুযোগ।’’

ইংল্যান্ড অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে মাঠের বাইরে থেকেও। প্রথম টেস্টে হারের পরে ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট দলের মধ্যে ফতোয়া জারি করেছে, রাতে টিম হোটেলের বাইরে কেউ বেরতে পারবে না। পারথের বারে গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে জনি বেয়ারস্টোর ঢুঁশো মারার ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পর থেকে যেন ইংল্যান্ড শিবিরে বেশি কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। যা শুনে অস্ট্রেলিয়ার কোচ ড্যারেন লেম্যান বলেছেন, ‘‘আমাদের শিবিরে এমন কার্ফু জারি হবে না। কারণ, দলের ছেলেদের ওপর আমার যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। ওরা জানে কখন, কী করতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement