বেঙ্গালুরু টেস্টের সময় ডান হাতের তর্জনিতে চোট পাওয়ায় তাঁর খেলা নিয়ে হাল্কা প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কিন্তু নেথান লায়ন তাতে ঘাবড়ানো তো দূরের কথা, উল্টে পাল্টা হুঙ্কার দিয়ে চলেছেন।
বেঙ্গালুরু টেস্টে হার। তার পর হঠাৎ করে চোট আঘাতের তালিকাটা বেড়ে যাওয়া। মিচেল স্টার্ক, মিচেল মার্শ— দু’জনেই চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছেন। এ বার লায়নকে নিয়েও প্রশ্ন। চাপে থাকার কথা অস্ট্রেলিয়ারই। কিন্তু রাঁচী টেস্ট শুরুর দিন তিনেক আগে মানসিক যুদ্ধ জেতার খেলায় নেমে পড়লেন অস্ট্রেলীয় অফস্পিনার। বলে দিলেন, তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া নয়, চাপে থাকবে ভারতই।
শুধু লায়ন কেন, গর্জন করছেন তাঁর সতীর্থরাও। যেমন ম্যাথু ওয়েড। ওয়েড বলেছেন, ‘‘ভারতকে আমরা এতটুকু সুযোগ দিতে চাই না। কারণ জানি ওদের এতটুকু সুযোগ দিলে ওরা পেয়ে বসবে। শুরুতেই ওদের থামিয়ে দিতে হবে।’’
আবার লায়ন সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা নই, ভারতই কিন্তু চাপে রয়েছে। পুরো চাপটাই ওদের ওপর। আমাদের ওপর কোনও চাপ নেই। সবাই তো আগে থেকে বলেই রেখেছিল, আমরা ০-৪ হারব। আমাদের দলে নতুন মুখে ভর্তি। আমরা কিছু করতে পারব না।’’
লায়নের কথায় পরিষ্কার, সিরিজ শুরুর আগে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের করা ভবিষ্যদ্বাণী তাঁদের কতটা তাতিয়ে দিয়েছিল, ‘‘আমরা প্লেনে ওঠার আগে নানা ভবিষ্যদ্বাণী শুনেছিলাম। সবারই মোটামুটি একটা ধারণা ছিল। আমরা ভারতে এসে কিছু করতে পারব না। কিন্তু আমাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস ছিল। আমরা জানতাম, আমাদের ক্ষমতা আছে ভাল কিছু করার। জানতাম, বিশ্বের সেরা দলকেও হারাতে পারি ওদের ডেরায় এসে।’’
আরও পড়ুন: বিলিয়ার্ডস, ব্যাডমিন্টন খেলে ফিট থাকার চেষ্টায় ধোনি
লায়ন আরও যোগ করেছেন, ‘‘পুণেতে আমরা ভারতকে হারিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম কী করতে পারি। বেঙ্গালুরুতেও কাছাকাছি এসেছিলাম। এখন তো একটা টেস্ট জিততে পারলেই ট্রফিটা নিজেদের কাছে রেখে দিতে পারব,’’ বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার অফস্পিনার।
কিন্তু আপনার নিজের অবস্থা কী? আঙুলের চোট নিয়ে খেলতে পারবেন তৃতীয় টেস্ট? লায়ন আশাবাদী, বৃহস্পতিবারের আগে তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন। বলছেন, ‘‘আমি এই মরসুমে প্রচুর বল করেছি। বছরে এক দু’বার এই সমস্যাটা হয়। তর্জনীর চামড়াটা ফেটে গিয়েছে। যন্ত্রণা আছে, তবে সামলে নিতে পারব বলে মনে হয়।’’ লায়ন মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ‘‘আঙুলে টেপ লাগিয়ে খেলার কোনও প্রশ্ন নেই। কারণ সেটা আইনে নেই। তবে এ রকম ঘটনা আগেও ঘটেছিল। ২০১৩ সালে আমি যখন ভারতে এসেছিলাম, তখন তৃতীয় টেস্টে একই ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু তিন দিন পরে আমি খেলতে পেরেছিলাম। তাই মনে হয় এ বারও পারব।’’
তবে লায়ন স্বীকার করছেন, এই মুহূর্তে অনুশীলনের সময় তিনি বোলিংয়ে খুব একটা বৈচিত্র আনতে পারছেন না আঙুলের চোটের জন্য। ‘‘আমি ক্রস সিমে বলটা করতে পারছি। স্পিনটাও করানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু বিশেষ বৈচিত্র আনতে পারছি না। ড্রিফটার বা লুপ কাজে লাগাতে পারছি না। চেষ্টা করলে এখনও কিছুটা সমস্যা হচ্ছে,’’ বলেছেন স্টিভ স্মিথের অন্যতম ভরসা।
বেঙ্গালুরুতে বিরাট কোহালি-স্টিভ স্মিথ বিতর্কের পরে আইসিসি চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে দু’দলের মধ্যে উত্তেজনার পারদটা না বাড়ে।