বিজয়নের নামে স্টেডিয়াম হচ্ছে কেরলে

ভারতীয় ফুটবলের সেরা জুটিগুলোর অন্যতম ভাইচুং-বিজয়ন জুটি। উদ্বোধনী জাতীয় লিগে জেসিটি-কে চ্যাম্পিয়ন করার পিছনেও তাঁদের জুটি। একজন সুদূর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভূমিপুত্র তো অন্য জন একেবারে দক্ষিণের রাজ্যের। আবার দুই সুপারস্টারেরই দাপট দেখা গিয়েছে কলকাতার বড় দলে।

Advertisement

সোহম দে

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৬ ০৩:৫৯
Share:

ভারতীয় ফুটবলের সেরা জুটিগুলোর অন্যতম ভাইচুং-বিজয়ন জুটি। উদ্বোধনী জাতীয় লিগে জেসিটি-কে চ্যাম্পিয়ন করার পিছনেও তাঁদের জুটি। একজন সুদূর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভূমিপুত্র তো অন্য জন একেবারে দক্ষিণের রাজ্যের। আবার দুই সুপারস্টারেরই দাপট দেখা গিয়েছে কলকাতার বড় দলে।

Advertisement

ভারতীয় ফুটবলারের নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামের ক্ষেত্রেও পথিকৃত জুটি হয়ে থাকছে ভাইচুং-বিজয়ন।

ভাইচুং স্টেডিয়াম আছে সিকিমের নামচিতে। ৩০ হাজার আসনের স্টেডিয়ামের বয়স পাঁচ বছর। ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসেই যেটা ফুটবলারের নামাঙ্কিত প্রথম স্টেডিয়াম। এ বার সেই তালিকায় দ্বিতীয় নাম ঢুকতে চলেছে বিজয়ন ইন্ডোর স্টেডিয়াম। তাঁরই জন্মস্থান ত্রিশূরে। যা আগামী এক বছরের মধ্যে গড়ে ফেলবে কেরলের সদ্য নির্বাচিত সরকার।

Advertisement

ত্রিশূরের গলি থেকেই ভারতীয় ফুটবল রাজপথে অন্যতম সেরা নাম হয়ে উঠেছিলেন বিজয়ন। এক সময় ডিফেন্ডারদের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় ফুটবলের কালো হরিণ। দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকারকে সম্মান জানাতে তাই ভাইচুংয়ের মতোই জীবদ্দশায় তাঁর নামে স্টেডিয়াম গড়ছে কেরল সরকার। এ দিন ফোনে উচ্ছ্বসিত বিজয়ন বললেন, ‘‘আমি ভাবতেই পারছি না। খুব খুশি লাগছে। যেখান থেকে কষ্ট করে বড় হয়েছি সেই ত্রিশূরে আমার নামে স্টেডিয়াম হবে। এর থেকে বড় সম্মান আর কী হতে পারে!’’

এ দেশের বাকি খেলার দিকে নজর দিলেও দেখা যাবে হকি আর ব্যাডমিন্টন বাদে ভারতীয় ক্রীড়াবিদের নামে কোনও স্টেডিয়াম নেই। নয়াদিল্লিতে ধ্যানচন্দ, লখনউতে কেডি সিংহ বাবু, গ্বালিয়রে রূপ সিংহ রৌরকেল্লায় দিলীপ তিরকে এবং গোরক্ষপুরে সঈদ মোদী স্টেডিয়াম। এমনকী ক্রিকেট আইকন সচিন তেন্ডুলকরের নামে ওয়াংখেড়েতে শুধু স্ট্যান্ড আছে। বিজয়ন বললেন, ‘‘হ্যাঁ, খুব বেশি প্লেয়ারের নামে স্টেডিয়াম নেই ভারতে। তাই আরও ভাল লাগছে।’’ তিনি-ই জানালেন, কেরলের প্রায় প্রতি রাজ্যে ইন্ডোর স্টেডিয়াম বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছে নবনির্বাচিত সরকার। ত্রিশূরেরটা বিজয়নের নামে করা হবে। ‘‘এক বছরের মধ্যেই স্টেডিয়াম বানানোর কাজ শেষ হবে। কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে,’’ বললেন দেশের জার্সিতে হয়ে ৪০ গোল করা বিজয়ন।

এক সময়ের দাপুটে স্ট্রাইকার এখন কেরল পুলিশে চাকরি করছেন। কিন্তু ফুটবল থেকে দূরে থাকতে পারেননি। কেরল পুলিশ দলের কোচের দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি। কয়েক বছর আগে কলকাতায় সাদার্ন সমিতিকে কোচিং করিয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন মোহনবাগান তারকা বিজয়ন। কিন্তু কোনও ব়ড় দলে কোচিং করাতে চান না। ‘‘আমি কেরল পুলিশে চাকরি করি বলে কোচিং করাচ্ছি আমার অফিস দলকে। কিন্তু কোনও বড় দলে কোচিং করানোর ইচ্ছা নেই। আমি খুশি আছি,’’ বলছেন বিজয়ন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন