Khela News

চার দিনেই হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ!

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জয় অধরাই থেকে গেল বাংলাদেশের। টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে পরাজয়ের পর দ্বিতীয় টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু, প্রথম ইনিংসে ২৮৯ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৩ রানের ফলে জয়ের স্বপ্ন ভেঙে যায় তামিম বাহিনীর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঢাকা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ ১৪:২৮
Share:

এ ভাবেই পরাস্ত হলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা। ছবি: সংগৃহীত।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জয় অধরাই থেকে গেল বাংলাদেশের।

Advertisement

টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে পরাজয়ের পর দ্বিতীয় টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু, প্রথম ইনিংসে ২৮৯ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৩ রানের ফলে জয়ের স্বপ্ন ভেঙে যায় তামিম বাহিনীর। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সব ক’টি উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। যেখানে লিড দাঁড়ায় মাত্র ১০৮ রান। জয়ের লক্ষ্যে ১০৯ রান করতে নেমে মাত্র ১৮.৪ ওভার খেলে ৯ উইকেট হাতে রেখেই ১১১ রান করে জয় পায় নিউজিল্যান্ড।

আরও পড়ুন

Advertisement

ন’হাজার রানের পাশে সাড়ে চারশো উইকেট সাকিবের

এর আগে প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ছিল ৩৫৪ রান। সব ক’টি উইকেট হারিয়ে ৬৫ রানের লিড নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। এর পর ক্রাইস্টচার্চে ম্যাচের তৃতীয় দিন বৃষ্টির কারণে কোনও বল মাঠে না গড়ালেও চতুর্থ দিন নির্দিষ্ট সময়ই খেলা শুরু হয়। ৬৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিং-এ নেমে শুরুতেই ওপেনার তামিম ইকবাল ৮ রান করে ক্রিজ ছাড়ে। টিম সাউদির বলে মিচেল স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। মাঠে নামেন মাহমুদউল্লাহ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ দেখেশুনে খেলতে থাকেন।

প্রথম ইনিংসের মতোই খেলতে থাকেন সৌম্য। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত দলীয় ৫৮ রানের মাথায় কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে আউট হন তিনি। ৬৪ বলে ৩৬ রান করে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ। এর পরে ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। তবে উইকেটে বেশি ক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত আট রানের মাথায় সাউদির বলে প্যাভিলিওনে ফিরতে হয় তাঁকে। আশার আলো কিছুটা দেখাতে পারলেও ব্যক্তিগত ৩৮ রানে ওয়াগনারের বলে সরাসরি বোল্ড হন মাহমুদউল্লাহ।

আরও পড়ুন

অশালীন আচরণ তরুণীর সঙ্গে! গ্রেফতার বাংলাদেশি ক্রিকেটার সানি

এর পর সাব্বিরের পালা। চার ওভার পরে সেই ওয়াগনারই তুলে নেন সাব্বিরকেও। ব্যক্তিগত শূন্য রানে উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিংকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। সেই ওভারের চতুর্থ বলে ফের ওয়াটলিংয়ে ক্যাচে শূন্য রানে মাঠ ছাড়েন নুরুল হাসান সোহান। ফ্যাকাশে হতে থাকে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন। তবে ক্রিজে এসে টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ঘুরে দাড়ানোর আশা দেখেছিল ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু ৬০ বলে মাত্র ১২ রান করার পর ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হন তিনি।

এর পরে ক্রিজে আসেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্যক্তিগত চার রানে বোল্টের বলে টম লাথামকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিওনে ফিরে যান মিরাজ। নবম উইকেট জুটিতে কিছুটা আলো দেখান তাসকিন আহমেদ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি। তাঁদের জুটিতে আসে ৫১ রান। আর সে রানের উপরে ভর করেই একশো রানের লিড পায় বাংলাদেশ। তাসকিন ৩০ বলে দু’টি ছক্কা ও একটি চারে ৩৩ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস খেলেন। পরে বোল্টের বলে আউট হয়ে ফেরেন। ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন রাব্বি। আর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রুবেল হোসেন সাউদির বলে ব্যক্তিগত ৭ রানে বিদায় নেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন