কলম্বিয়া-শাপ কাটিয়ে নায়ক ক্যাপ্টেন নেইমার

ব্রাজিলের সামনে এখন কলম্বিয়া পড়লে কিছু না কিছু একটা হবে। গত কয়েক বছর ধরেই জিনিসটা দেখা যাচ্ছে। উত্তেজনা ছড়ানো, ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়া, বিপক্ষের সেরা ফুটবলারের শিরদাঁড়া হাঁটু দিয়ে মেরে ভেঙে দেওয়া— ব্রাজিল বনাম কলম্বিয়ায় বিশ্বফুটবল ইদানীং সবই দেখেছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৬ ০৪:২৮
Share:

ব্রাজিলের সামনে এখন কলম্বিয়া পড়লে কিছু না কিছু একটা হবে। গত কয়েক বছর ধরেই জিনিসটা দেখা যাচ্ছে। উত্তেজনা ছড়ানো, ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়া, বিপক্ষের সেরা ফুটবলারের শিরদাঁড়া হাঁটু দিয়ে মেরে ভেঙে দেওয়া— ব্রাজিল বনাম কলম্বিয়ায় বিশ্বফুটবল ইদানীং সবই দেখেছে। ভারতীয় সময় রবিবার সকালে অলিম্পিক্স কোয়ার্টার ফাইনালে যে ব্রাজিল-কলম্বিয়া ম্যাচটা হল, সেটাও ব্যতিক্রমী হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেনি। শিরদাঁড়া গুঁড়িয়ে দেওয়ার মতো মারাত্মক ঘটনা ঘটেনি ঠিকই, কিন্তু ঝামেলা বেঁধেছে। নেইমার রাগের মাথায় বিশ্রী ভাবে ফাউল করেছেন এক কলম্বিয়া ফুটবলারকে। কার্ডও দেখেছেন। কিন্তু সে সব নয়। ম্যাচে ব্রাজিলের দু’গোলে জয়, নেইমারের দুর্ধর্ষ ফর্ম ঠিক সময়ে বার করে আনা, মাঠের ঝামেলা— সব কিছুকে ছাপিয়ে কলম্বিয়া ম্যাচ যেন আবার এক মহানাটকীয় প্রেক্ষাপটের দিকে ঠেলে দিল নেইমারের ব্রাজিলকে।

Advertisement

ব্রাজিলের মাঠে কিন্তু আবার ব্রাজিল-জার্মানি দেখা হতে পারে। মৃদু নয়, বেশ ভাল সম্ভাবনা। যদি হয়, তা হলে কিন্তু এ বার আর সেমিফাইনাল নয়। একেবারে অলিম্পিক্স ফাইনাল!

সেমিফাইনালে হন্ডুরাসের বিরুদ্ধে খেলতে হবে ব্রাজিলকে। নেইমারদের পক্ষে যা না জেতাই অস্বাভাবিক ঘটনা। উল্টো দিকে, জার্মানি নামবে ’৯৬ অলিম্পিক্সের সোনাজয়ী নাইজিরিয়ার বিরুদ্ধে। যুদ্ধ ব্রাজিলের তুলনায় কঠিন, কিন্তু বাস্তব বিচারে বিশেষ নয়। কোয়ার্টার ফাইনালে পতুর্গালকে জার্মানি কিন্তু চার গোল দিয়েছে।

Advertisement

এ দিন ম্যাচের বারো মিনিটের মাথায় এক অসাধারণ ফ্রিকিকে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন নেইমার। তিরাশি মিনিটে লুয়ানের দ্বিতীয় গোলের পিছনেও সিংহভাগ কৃতিত্ব নেইমারের। গোলের দুর্দান্ত পাসটা বার্সেলোনা বম্বারই দিয়েছিলেন। দু’বছর আগে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে এমন এক কলম্বিয়া ম্যাচ কেড়ে নিয়েছিল নেইমারের কাপ-স্বপ্ন। কার্লোস জুনিগার হাঁটু তাঁর শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়েছিল। যার পর সেমিফাইনালে নেইমার ছাড়াই জার্মানির বিরুদ্ধে নামে ব্রাজিল এবং ১-৭-এর সেই অভিশপ্ত হার। কাপ-পরবর্তী অধ্যায়ে কলম্বিয়ার সামনে ব্রাজিল পড়লেই তা কোনও না কোনও ভাবে ঠিক যেন নেইমারের প্রতিশোধের ম্যাচে দাঁড়িয়ে যায়। গত বছরই কোপা আমেরিকায় কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল নেইমারকে। অলিম্পিক্স কোয়ার্টারেও লেগেছে। বিরতির আগে নেইমার এক মারাত্মক ফাউল করে বসেন। কলম্বিয়া প্লেয়ারদের সঙ্গে ঝামেলাও বেঁধে যায়। শেষ পর্যন্ত রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে ফুটবলারদের ছুটে এসে সামলাতে হয় পরিস্থিতি। নেইমার একটা হলুদ কার্ড দেখে রেহাই পেয়ে যান। পরে লুয়ান বলে যান, ‘‘ওরা প্রচণ্ড মারছিল। যা-ই হোক, চাপটা আমরা সামলে দিতে পেরেছি। আমরা শুধু এখন পরের দু’টো ম্যাচে ফোকাস রাখছি। যে দু’টো জিতলেই আমাদের স্বপ্ন সত্যি হবে।’’

আর জার্মানিকে হারিয়ে যদি হয় সেই স্বপ্নপূরণ, কে না জানে একই সঙ্গে শাপমুক্তিও হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন