তিন বছর আগে চোট পেয়ে মাঝপথেই শেষ হয়েছিল তাঁর বিশ্বকাপ স্বপ্ন।
সেই যন্ত্রণা সামান্য কমেছে গত অলিম্পিক্সে অধরা সোনা দেশকে এনে দিয়ে। কিন্তু আসল স্বপ্নটা যে এখনও পূরণ হয়নি।
তাঁর ট্রফি ক্যাবিনেটে প্রায় প্রতিটা ট্রফি আছে। খালি আছে একটাই জায়গা— বিশ্বকাপ। ব্রাজিল মানেই তো বিশ্বফুটবলের সেই ঐতিহাসিক দেশ। যাঁদের প্রতিটা প্রজন্মে একটা করে সোনার প্লেয়ার রয়েছে। প্রায় প্রতিটা মহাদেশে একটা করে বিশ্বকাপ ট্রফি রয়েছে।
বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে শীর্ষে থাকা ব্রাজিল প্রায় পৌঁছেই গিয়েছে রাশিয়া। আর এখন থেকেই দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোর স্বপ্ন দেখছেন তিনি— নেইমার জুনিয়র। ‘‘আমি এখন থেকেই ২০১৮ বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছি। আমি স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি। এখন থেকেই কল্পনা করছি সেই মুহূর্তটা, যখন আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হব,’’ বলছেন ব্রাজিলের পোস্টার বয়।
চব্বিশ ঘণ্টা আগেই পঁচিশে পা দিয়েছেন। এত কম বয়সে ব্রাজিলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা গোলস্কোরার তিনি। কিন্তু তবুও থামতে চান না ওয়ান্ডারকিড। ‘‘ব্রাজিলের হয়ে খেলতে পারায় গর্ব হয়। আরও গোল করতে চাই। রেকর্ড বানাতে চাই। এখনও অনেক ট্রফি জেতা বাকি,’’ বলছেন বার্সা মহাতারকা।
লা লিগায় এখনও রিয়াল মাদ্রিদের থেকে এক ম্যাচ বেশি খেলে দু’নম্বরে বার্সা। বিশেষজ্ঞদের মতে, বার্সেলোনার জেতার কোনও সুযোগ নেই। নেইমার অবশ্য বলছেন, ‘‘গত বারও আমরা বারো পয়েন্ট এগিয়ে ছিলাম রিয়ালের থেকে। তাতেও শেষদিন অবধি চলেছিল চ্যাম্পিয়নশিপ লড়াই। এখনও অনেক ম্যাচ বাকি আছে। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করব।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘ছোটবেলা থেকে আমি স্বপ্ন দেখতাম কোনও একদিন বার্সেলোনায় খেলব। সেই স্বপ্নপূরণ করায় ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।’’
মঙ্গলবার আবার কোপা দেল রে-র দ্বিতীয় পর্বে নামবে বার্সেলোনা। প্রতিপক্ষ আটলেটিকো মাদ্রিদ। প্রথম পর্বে লুইস সুয়ারেজ ও লিওনেল মেসির ম্যাজিক গোলের সৌজন্যে ২-১ জিতেছিল বার্সা। অর্থাৎ ম্যাচটা ড্র রাখতে পারলেই ফাইনালে উঠবে বার্সেলোনা।