নিষ্ঠুর বয়স আর এমএসএনের রাত

কিংগসলি কোমান কে? উইকিপিডিয়া ঘাঁটলে দেখা যাবে উনিশ বছরের এক ফরাসি ফুটবলার। খেলাটার পাশাপাশি নিজের চুলের স্টাইল নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করতে ভালবাসেন।

Advertisement

সোহম দে

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৬ ০৪:২৭
Share:

কিংগসলি কোমান কে?

Advertisement

উইকিপিডিয়া ঘাঁটলে দেখা যাবে উনিশ বছরের এক ফরাসি ফুটবলার। খেলাটার পাশাপাশি নিজের চুলের স্টাইল নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করতে ভালবাসেন।

বুধবার রাতের পর আর একটা জিনিস জানতে পারা গেল— এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা তরুণ ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম কোমান।

Advertisement

যিনি জুভেন্তাস থেকে বিতাড়িত হওয়ার রাগ ভোলেননি। বলা হয়েছিল তাঁর ফুটবল স্টাইল নাকি ইতালীয় ফুটবল ধরনের সঙ্গে খাপ খায় না। জুভেন্তাস থেকে লিয়েনে আসা বায়ার্ন মিউনিখে তিনি কোমান-ই ‘পেরেন্ট ক্লাব’-এর বিরুদ্ধে হয়ে উঠলেন গ্ল্যাডিয়েটরের ম্যাক্সিমাস। বদলার আবেগে জুভেন্তাসকে দেখিয়ে দিলেন তাঁকে বায়ার্নে সাময়িক পাঠানোটাও কত বড় ভুল হয়েছে!

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফিরতি প্রি-কোয়ার্টারে ঘরের মাঠে গুয়ার্দিওলার বায়ার্ন ০-২ পিছিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে তখন ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কায়। সেই চাপ নিয়ে রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে মাঠে ঢুকে দলকে সাহায্য করলেন তরুণ কোমান। জুভেন্তাসকে অতিরিক্ত সময়ে ৪-২ (দু’পর্ব মিলিয়ে ৬-৪) গোলে হারিয়ে ছিটকে দিতে। নিজে করলেন বিশ্বমানের গোল।

দেশজ মঞ্চে জার্মানির বরাবরের গাঁট ইতালি। কিন্তু ক্লাব ফুটবলে ছবিটা আলাদা। বুন্দেশলিগা যেখানে ফের ইউরোপে পুরনো আধিপত্য ফিরে পাচ্ছে, তখন সেরি এ-র ক্লাবগুলোর অবস্থা তাসমানিয়ার বাঘের মতোই। প্রায় বিলুপ্ত প্রজাতি! দুই মিলানের ম্যাচ দেখতে সান সিরো-ই পুরো ভরে না। বাকি বিশ্বের আগ্রহ তো দূরে থাক! এই মুহূর্তে ইতালির আশার আলো বলতে শুধু জুভেন্তাস। কিন্তু গত বারের ফাইনালিস্ট বুফনের দল বুধবার ২-০ এগিয়ে গিয়েও কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা তো দূরের কথা, প্রচণ্ড গুরুত্বপূর্ণ লিডটাও ধরে রাখতে পারল কোথায়?

সত্যিই বয়স খুব নিষ্ঠুর! বিশ্বসেরাদেরও হারিয়ে দেয়। না হলে বুফনের মতো কিপারকে গোল দিয়ে যাবে থিয়াগো আলকান্তারা! এ বারের ‘ম্যান অব দ্য উইক’ বাছার আগে তাই ‘ফ্লপ অব দ্য উইক’ তো জিয়ানলুইগি বুফন এবং তাঁর জুভে।

বার্সেলোনার একতরফা খেলা এখন আবার বিশেষজ্ঞের কাছেও ‘বোরিং’! আসলে হালফিলে মেসি-নেইমার-সুয়ারেজের বিরুদ্ধে নামা মানেই তো কপালে হার নিশ্চিত। শুধু স্কোরলাইনটা কতটা কম অপমানজনক রাখা যায় সেটাই যেন এমএসএনের প্রতিপক্ষদের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলিউডে সলমন খানের ছবির মতোই! গল্প যা-ই হোক না কেন, রিলিজ হলেই বক্সঅফিসে দুশো কোটি। তেমনই প্রতিপক্ষ যে-ই হোক না কেন, বার্সা মাঠে নামলেই জয় অনিবার্য। বুধবার রাতেও আর্সেনালের বিরুদ্ধে অনবদ্য গোল এমএসএনের। ৩-১ জয়। দু’পর্ব মিলিয়ে ৫-১ জিতে শেষ আটে বার্সা। ইউরোপিয়ান মরসুম এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যখন প্রতি বছরের মতো আর্সেনাল নিজেদের ‘সেল্ফ ডিস্ট্রাক্ট’ বোতামটা টিপবে। সমর্থকদের চারটে ট্রফি জেতানোর আশা জাগিয়েও শেষমেশ শূন্য হাতে শেষ করবে। আর্সেন ওয়েঙ্গার আশ্বস্ত করবেন, আসছে বছর আবার হবে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, এফএ কাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে গানার্সরা। প্রিমিয়ার লিগ একমাত্র আশা। কিন্তু সেখানেও নিউক্যাসলকে ১-০ হারিয়ে ১১ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে ছুটে চলেছে ফরেস্ট গাম্প। মানে? লেস্টার সিটি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement