ম্যাচের পর তর্কাতর্কি ওস্টাপেঙ্কো (বাঁদিকে) ও টাউনসেন্ডের (ডানদিকে) মধ্য়ে। ছবি: এএফপি
টেনিসের যাবতীয় শিষ্টাচার ভুলে যাচ্ছে ২০২৫ সালের ইউএস ওপেন। ম্যাচের পর কথা কাটাকাটিতে জড়ালেন দুই মহিলা খেলোয়াড় টেলর টাউনসেন্ড এবং জেলেনা ওস্টাপেঙ্কো। দু’জনকে নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
টাউনসেন্ড দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ২৫ নম্বর বাছাই এবং ২০১৭ সালের ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন ওস্টাপেঙ্কোকে ৭-৫, ৬-১ গেমে হারান। এর পর ম্যাচশেষে নেটে হাত মেলানোর সময় দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। ওস্টাপেঙ্কো বলেন, টাউনসেন্ডের ‘‘কোনও রুচি নেই’’ এবং ‘‘কোনও শিক্ষা নেই’’।
ম্যাচ শুরু আগে এবং ম্যাচ চলাকালীন দু’টি ঘটনা থেকে বিরোধের সূত্রপাত। ওস্টাপেঙ্কোর অভিযোগ, টেনিসের শিষ্টাচার মানেননি টাউনসেন্ড। প্রথমত, খেলা শুরুর আগে গা ঘামানোর সময় টাউনসেন্ড নেটের কাছে চলে আসেন। টেনিসের নিয়ম অনুযায়ী এই সময় দুই খেলোয়াড়কেই বেস লাইনে থাকতে হয়। দ্বিতীয় ঘটনা, ম্যাচের সময় নেটে বল লেগে একটি পয়েন্ট পেয়ে যান টাউনসেন্ড। ওস্টাপেঙ্কোর অভিযোগ, টেনিসের শিষ্টাচার মেনে ‘সরি’ বলেননি টাউনসেন্ড।
ম্যাচ হারার পর টাউনসেন্ডের সঙ্গে হাত মেলানোর সময় ভরা আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামের দর্শকদের সামনে এই অভিযোগগুলি আবার করেন ওস্টাপেঙ্কো। ম্যাচের পর টাউনসেন্ড বলেন, ‘‘হেরে গেলে মানুষ মনখারাপ করে। কেউ কেউ খারাপ কথাও বলে। ও আমাকে বলেছে যে, আমার কোনও ক্লাস নেই, কোন শিক্ষা নেই। আমাকে হুমকি দিয়েছে, আমেরিকার বাইরে গেলে আমার কী হয়, ও দেখে নেবে।’’
ওস্টাপেঙ্কো ম্যাচের পর বলেন, “খেলা শেষ হওয়ার পর আমি ওকে শুধু বলেছিলাম, মোক্ষম সময়ে নেটে যে পয়েন্টটা পেল, তার জন্য আমাকে ‘সরি’ বলা উচিত। কিন্তু ও বলল, ‘সরি’ বলার কোনও কারণ ও দেখছে না। টেনিসে কিছু নিয়ম আছে যা বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই মেনে চলে। এই প্রথম বার আমার সঙ্গে এ রকম হল। শুধুমাত্র নিজের দেশে খেলছে বলেই যা খুশি তাই করবে?”
প্রথম সেটে ৩-৫ গেমে পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও, টাউনসেন্ড এক অসাধারণ প্রত্যাবর্তন করেন। টানা চারটি গেম জিতে ৭-৫ ব্যবধানে সেটটি জিতে নেন। দ্বিতীয় সেটে ওস্টাপেঙ্কোকে দাঁড়াতে দেননি টাউনসেন্ড। ৬-১ ব্যবধানে জিতে নেন দ্বিতীয় সেট। ১ ঘণ্টা ১৮ মিনিটে শেষ হয়ে যায় খেলা।