এঁদের মধ্যে থেকেই উঠে আসবেন ভবিষ্যতের সচিন, কোহালি, অশ্বিনরা। অথচ আজ তাঁদের খাওয়ার টাকাও নেই! ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলা এক মাস ব্যাপি সিরিজের মাঝপথে এখন এই অবস্থাতেই দাঁড়িয়ে কোচ রাহুল দ্রাবিড়-সহ গোটা অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় দল। অবস্থা এতটাই খারাপ যে, রাতের খাওয়ার জন্য ক্রিকেটারদের ভরসা রাখতে হচ্ছে বাড়ি থেকে পাঠানো টাকার উপর।
হঠাত্ এই অবস্থা হল কেন? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দেশজ ক্রিকেটের শাসনভার আপাতত শীর্ষ আদালত নির্দেশিত চার প্রশাসকদের হাতে। বিনোদ রাই, ডায়না এডুলজিরা প্রশাসক হিসাবে আসার পরে তালা পড়েছে প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর এবং প্রাক্তন বোর্ড সচিব অজয় শিরকের অফিসে। আর এখান থেকেই সমস্যার শুরু। অজয় শিরকে বা অনুরাগ ঠাকুররা না থাকায় এই মুহূর্তে টাকা বরাদ্দ করার মতো কোনও স্বাক্ষরকারী নেই বোর্ডে। ফলে যুব দলের ক্রিকেটাররা তাঁদের দৈনিক ভাতার টাকাটুকুও ঠিক মতো পাচ্ছেন না। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কেন্দ্রের নোট বাতিল সিদ্ধান্ত। যার জেরে এই মুহূর্তে এটিএম থেকেও ২৪ হাজার টাকার বেশি তোলা যাচ্ছে না। ফলে টাকার জন্য পরিবারের কাছে হাত পাততে হচ্ছে পৃথ্বী শ’দের। যুব দলের এক সাপোর্টিং স্টাফ জানালেন, “যে হোটেলে আমরা রয়েছি, সেটাতে একটা স্যান্ডউইচের দাম দেড় হাজার টাকা। যেখানে খেলা হচ্ছে, তারা লাঞ্চ দিচ্ছে। কমপ্লিমেন্টারি হওয়ায় ব্রেকফাস্ট দিচ্ছে হোটেলই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ডিনার নিয়ে। দিনের শেষে ক্লান্ত ক্রিকেটারদের হোটেলের বাইরে গিয়ে কম দামে খাবারের খোঁজ করতে হচ্ছে। সঙ্গে টাকা না থাকায় অনেক ক্রিকেটারকেই নির্ভর করতে হচ্ছে পরিবারের উপর।”
ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সে অবশ্য তেমন ছাপ পড়ছে না। ছবি: পিটিআই।
কবে ঠিক হবে এই অবস্থা? বিসিসিআইয়ের এক আধিকারিক বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি সিরিজ শেষ হতেই ক্রিকেটারদের টাকা দিয়ে দেওয়ার। এই মুহূর্তে বোর্ড একটু সমস্যায় আছে। দলকে তা জানানোও হয়েছে।”
তবে সিনিয়র দলের এই সমস্যা হবে না বলেই জানিয়েছে বোর্ড। কোহালিদের যেন কোনও অসুবিধা না হয় তা দেখতে বোর্ডের সিইও রাহুল জোহারিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিনোদ রাইরা।
আরও পড়ুন: তালা পড়ল অনুরাগ, শিরকের অফিসে