Lottery

ভাঙা ঘরে বসে ১০০ লাখ টাকা জয়! কর্তার লটারির নেশা পরখ করতে গিয়ে ‘কোটিপত্নী’ হলেন গিন্নি

দম্পতি জানান, কয়েক বছর আগে ওড়িশা থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন তাঁরা। দু’জনেই চালকলে কাজ করতেন। হঠাৎ সেটা বন্ধ হয়ে যেতে গিন্নি একটি চায়ের দোকান করেন। তাতে সাহায্য করেন কর্তা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:৪৩
Share:

লটারিতে কোটি টাকা জেতার পরে কর্তা-গিন্নি। —নিজস্ব চিত্র।

ভাঙাচোরা বাড়িতে বাস। ছোট একটি চায়ের দোকান চালিয়ে কোনও মতে পেট চলে। হঠাৎ বদলে গেল সেই পরিবারের হাল। রাতারাতি কোটিপতি হলেন বাড়ির কর্তা-গিন্নি! সৌজন্যে ৯০ টাকা দিয়ে কাটা লটারির টিকিট।

Advertisement

পূর্ব বর্ধমানের উচালনের বাসিন্দা টুলু এবং জলি বিষয়ী। উচালনের রাস্তার ধারে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান আছে দম্পতির। যা রোজগার হয়, তা দিয়ে কোনও ক্রমে সংসার চলে। দিন দুয়েক আগে চা দোকানের মালকিন জলি একটি লটারির টিকিট কেটেছিলেন। খরচ হয়েছিল ৯০ টাকা। দেখা গেল সেই টিকিটেই রয়েছে প্রথম পুরস্কার এক কোটি টাকা!

উচ্ছ্বসিত বিষয়ী দম্পতি জানান, কয়েক বছর আগে ওড়িশা থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন তাঁরা। দু’জনেই চালকলে কাজ করতেন। হঠাৎ সেটা বন্ধ হয়ে যেতে গিন্নি একটি চায়ের দোকান করেন। তাতে সাহায্য করেন কর্তা। তাই দিয়ে চার জনের সংসার চলে। দুই পুত্রের একজন দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। দ্বিতীয়টি প্রথম শ্রেণির পড়ুয়া। বাড়ির কর্তা প্রায়শই লটারির টিকিট কাটেন। কিন্তু কখনও বড় পুরস্কার বরাতে জোটেনি। স্ত্রী প্রথম বারেই পেয়ে গেলেন জ্যাকপট! জলির কথায়, ‘‘এ ভাবে কপাল ফিরবে কখনও ভাবিনি। স্বামী প্রায়ই লটারির টিকিট কাটেন। সে দিন কী মনে হল, নিজে একটা টিকিট কিনলাম। তার পরেই ভাঙা ঘরের এই বাসিন্দা কোটিপতি!’’

Advertisement

কোটি টাকা পেয়ে আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন স্বামী-স্ত্রী। এত টাকা দিয়ে কী করবেন, এখনও ভেবে উঠতে পারেননি। তবে নিজেদের একটি বাড়ি করার ইচ্ছে রয়েছে। খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে দিয়েছেন। কত দিন এই ভাঙা ঘরে বসে সংসারের হাল ফেরানোয় আশায় দিন গুনেছেন। সেই সুযোগ এল আচমকাই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement