দেশের সব থেকে ধনী ক্রীড়াবিদ সচিন তেন্ডুলকরের কাছে যখন টাকা থাকত না ট্যাক্সি করে বাড়ি ফেরার তখন ঠিক কী করতেন তিনি? সেটা সেই সময়ের কথা। যখন অনূর্ধ্ব-১৫ ম্যাচ খেলে পুণে থেকে মুম্বইয়ের দাদার স্টেশনে নেমেছিলেন তিনি। তার পর কী করলেন? সচিন বলেন, ‘‘আমার তখন বয়স সবে ১২ বছর। মুম্বই অনূর্ধ্ব-১৫ দলে সুযোগ পেয়েছি। আমি প্রচন্ড উত্তেজিত ছিলাম। কিছু টাকা নিয়ে পুণে চলে গিয়েছিলাম তিনটি ম্যাচ খেলতে। আর সেখানে খুব বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। আমি মাত্র ৪ রান করে রান আউট হয়ে যাই। বৃষ্টির জন্য পরে আর ব্যাট করার সুযোগ পাইনি। আমি খুব হতাশ ছিল। ড্রেসিংরুমে ফিরে কেঁদে ফেলেছিলাম।’’
আসল ঘটনাটা ঘটে মুম্বই ফেরার পর। ‘‘তার আগে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের আর কিছু করার ছিল না। পকেটে কত টাকা আছে না দেখেই সিনেমা দেখে বাইরে খাবার খেয়ে সব শেষ করে ফেলি। যখন মুম্বই পৌঁছই তখন আমার পকেটে একটাও টাকা ছিল না। সঙ্গে তখন দুটো বড় বড় ব্যাগ। দাদার স্টেশনে নেমে শিবাজী পার্ক পর্যন্ত হাঁটতে হয়েছিল। কারণ পকেটে টাকা ছিল না।’’ তখনও মোবাইল ফোন আসেনি। সেটা থাকলে হয়তো এত সমস্যা হত না। সচিন বলছিলেন, ‘‘ভাবতে পারছেন, যদি আমার হাতে তখন একটা ফোন থাকত বাবা বা মাকে একটা এসএমএস করলেই তাঁরা আমার মোবাইলে টাকা ট্রান্সফার করে দিত। তাহলে আমি ট্যাক্সি করে যেতে পারতাম।’’ টেকনোলজি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নিজের আরও একটি অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন সচিন। ‘‘যদি টেকনোলজির কথাই বলা হয়, তাহলে আমিই প্রথম থার্ড আম্পায়ারের দেওয়া আউটের শিকার। সেটা ১৯৯২ সাল। থার্ড আম্পায়ার আমাকে রান আউট দিয়েছিল।’’ টেকনোলজির সপক্ষে এরকমই অনেক অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়ে গেলেন সচিন তেন্ডুলকর।
আরও খবর
সূর্যকে তিনে নামানো একটা গ্যাম্বেল ছিল: গম্ভীর