শহরে পৌঁছে গেলেন সনি নর্ডি। সঙ্গে নতুন বান্ধবী। ছবি: উৎপল সরকার
নতুন বান্ধবীকে নিয়ে সোমবার ভোরে শহরে পৌঁছলেন সনি নর্ডি। ডার্বির ঠিক আগেই তারকা হাইতি স্ট্রাইকার চলে আসায় মোহনবাগান সমর্থকদের মধ্যে চাপা উল্লাস।
কিন্তু শনিবাসরীয় ডার্বিতে সনি বনাম মেন্ডি হবে কি? এখন পর্যন্ত যা খবর, সেই সম্ভাবনা প্রায় নেই-ই। ইস্টবেঙ্গল শিবিরও সেটাই ধরে নিয়েছে। জানা গেল, সোমবারই ফরাসি ডিফেন্ডার বার্নার্ড মেন্ডির ভিসার কাগজপত্র জমা পড়েছে। ভারতে আসার ভিসা পেতে তাঁর আরও দু’-তিন দিন লাগবে। তার পর কলকাতার বিমানের টিকিট পাঠানো হবে লাল-হলুদ থেকে। শহরে এসেই তাই আইএসএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ান তারকার ডার্বিতে নেমে পড়া প্রায় অসম্ভব। কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যও বলে দিলেন, ‘‘মেন্ডিকে ছাড়াও তো জিতেছি আমরা। ওর আসার কোনও খবর এখনও ক্লাব থেকে পাইনি। যারা আছে তাদের নিয়েই ডার্বির জন্য তৈরি হব।’’
বিপক্ষ কোচের মতোই টিমের ঐক্যের কথা ভেবে সনি নিয়ে মুখে উচ্ছ্বাস না দেখালেও মনের ভেতরে কিন্তু বাগান কোচের ডার্বি-অঙ্কে সনি আছেন প্রবলভাবেই। সঞ্জয় সেন বললেন, ‘‘সনি আমার ডার্বির টিমের একটা অঙ্গ। ও এসে যাওয়ায় আমাদের শক্তি বেড়েছে। তবে সনি ছাড়াও তো আমরা জিতেছি। ওর সঙ্গে কথা বলব। দেখব কী অবস্থায় আছে।’’ মঙ্গলবারই অনুশীলনে নেমে পড়ার কথা সনির। তার আগে এ দিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হননি তিনি। বাগান কর্মীরা তাঁকে বিমানবন্দরের অন্য গেট দিয়ে বার করে নিয়ে গিয়ে তোলেন হোটেলে। সেখানেই সারাদিন বিশ্রাম নেন সনি।
এখনও কোনও টাইটেল স্পনসর আসেনি বাগানে। তা সত্ত্বেও সনিকে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে রাজি করিয়ে নিয়ে এসেছেন সৃঞ্জয়-দেবাশিসরা। ডার্বির আগে যাতে টিমের অন্দরে কোনও অশান্তি না হয় সে জন্য এ দিনই ফের এক কোটি টাকা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট টুটু বসু। ফুটবলারদের বকেয়া মাইনে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য। তবে এ ভাবে স্পনসরহীন তারকাখচিত টিমকে কর্তারা কত দিন টানতে পারবেন সেটাই এখন দেখার!