বিরাটের জেতার ইচ্ছেটা টিমে ছোঁয়াচে হয়ে গিয়েছে

দুরন্ত প্রত্যাবর্তনের জন্য এ বারের আইপিএলে হালফিলে সবার নজর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর উপর। বছর কয়েক আগের নিলামে ওরা নিঃসন্দেহে শক্তিশালী টিম তৈরি করেছিল। ক্রিস গেইল, এবি ডে’ভিলিয়ার্স, শেন ওয়াটসনের মতো মহাতারকাকে নিয়ে।

Advertisement

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৬ ০৪:১৪
Share:

অডির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর হিসেবে সেরে ফেললেন ফটোশ্যুটও। ছবি-টুইটার

দুরন্ত প্রত্যাবর্তনের জন্য এ বারের আইপিএলে হালফিলে সবার নজর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর উপর। বছর কয়েক আগের নিলামে ওরা নিঃসন্দেহে শক্তিশালী টিম তৈরি করেছিল। ক্রিস গেইল, এবি ডে’ভিলিয়ার্স, শেন ওয়াটসনের মতো মহাতারকাকে নিয়ে। সবার উপরে বিরাট কোহালি নামক এই মানুষটা। এ রকম একটা টিমকে প্রথম দিকে হারতে দেখে অবাক লাগছিল। আরও অবাক লাগছিল কারণ, ওদের বোলিং চ্যালেঞ্জটা নিতেই পারছিল না। মনে হয় ক্রিস জর্ডান আসায় ওদের টিমের ভারসাম্য অনেক ভাল হয়েছে। যার জন্য টুর্নামেন্টের শেষ আর গুরুত্বপূর্ণ দিকে ওরা ভাল পারফর্ম করছে।

Advertisement

তবে আমার বিশ্বাস, প্রথম চারে থাকার লড়াইয়ে এক বিশেষ ব্যক্তি টিমটাকে সবচেয়ে বেশি টেনে নিয়ে যাচ্ছে। বিরাট কোহালি নিয়ে বলতে গিয়ে সব বিশেষণ শেষ হয়ে যাচ্ছে। ইডেনে কলকাতার বিরুদ্ধে বিরাট যা যা করল, সেটা অস্বাভাবিক মনের জোরের পরিচয়। বাঁ হাতের তর্জনি ও বুড়ো আঙুলের মাঝের নরম জায়গাটা ফেটে গেল, অথচ তার পরেও বিরাট ব্যাট করতে নামল— এটা ওর দৃঢ় মনোভাবের দারুণ উদাহরণ। ও রকম বড় ম্যাচে ১৮০ তাড়া করা সহজ ছিল না। ওই ম্যাচ হেরে গেলে আরসিবির টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যেত। কিন্তু বিরাট যে ভাবে খেলল, তাতে এক বারও মনে হয়নি ও কোনও রকম অস্বস্তিতে রয়েছে।

অতিমানবীয় ইনিংস খেলে উঠে রক্তমাংসের পৃথিবীতে। বিরাট কোহালিকে আবার দেখা গেল অনুষ্কা শর্মার সঙ্গে।
জাপানি রেস্তোরাঁয় ডিনারে হাজির ছিল পুরো আরসিবি টিমও।

Advertisement

তার আটচল্লিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে পরের ম্যাচেই হাতে সেলাই নিয়ে ব্যাট করতে নেমে পড়ল বিরাট। শুধু তাই নয়, স্বচ্ছন্দ একটা সেঞ্চুরি করে টিমকে শেষ চারের পাকা জায়গা প্রায় পাইয়ে দিল। মনে হচ্ছে বিরাট জীবনের সেরা ফর্মে রয়েছে। কিন্তু তার চেয়েও বেশি আমার যেটা চোখে পড়ে, সেটা হল ওর জেতার ইচ্ছে। এই ইচ্ছেটা এত ছোঁয়াচে যে গোটা টিম অধিনায়কের সঙ্গে রয়েছে।

আইপিএল এখন খুব ইন্টারেস্টিং জায়গায় চলে গিয়েছে। বেশ কয়েকটা টিম একই পয়েন্ট নিয়ে দাঁড়িয়ে। শেষ চারে শেষমেশ কারা থাকবে, এখনও পরিষ্কার নয়। বেঙ্গালুরু, গুজরাত, মুম্বই, দিল্লি আর কলকাতা সবাই প্লে-অফ লড়াইয়ে একে অন্যের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। ওদের সামনে স্কিলের চেয়েও এখন চরিত্রের পরীক্ষা। কারণ যারা নার্ভ ধরে রাখতে পারবে তারা অন্যদের টপকে বেরিয়ে যাবে। ক্রিকেটে ছন্দ জিনিসটা জরুরি। আর আমার তো মনে হচ্ছে, আরসিবি এখন ক্রমশ উঁচুতে উঠছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন