ঐতিহাসিক জয়, বলছে বিশ্ব

নিজেকে মেয়ে প্রমাণ করে ট্র্যাকে ফিরছেন দ্যুতি

ট্র্যাকের লড়াই জিতেছেন। এ বার দেশের বিতর্কিত অ্যাথলিট দ্যুতি চাঁদ জিতলেন হাইপারঅ্যান্ড্রোজেনিজমের বিরুদ্ধে। যা হঠাৎই তাঁকে মহিলার বদলে পুরুষ হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেছিল। দু’বছর রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক। সোমবার কোর্ট অব আরবিট্রেশন অব স্পোর্টস (সিএএস)-এর রায়ে অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক ফের উন্মুক্ত হয়ে গেল ওড়িশার এই মেয়ের সামনে! আন্তর্জাতিক মিডিয়া— নিউ ইয়র্ক টাইমস থেকে বিবিসি, যাকে বলছে ‘ঐতিহাসিক জয়’।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৫ ০৩:১৬
Share:

হতাশ করলেন দ্যুতি।

ট্র্যাকের লড়াই জিতেছেন। এ বার দেশের বিতর্কিত অ্যাথলিট দ্যুতি চাঁদ জিতলেন হাইপারঅ্যান্ড্রোজেনিজমের বিরুদ্ধে।
যা হঠাৎই তাঁকে মহিলার বদলে পুরুষ হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেছিল। দু’বছর রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক। সোমবার কোর্ট অব আরবিট্রেশন অব স্পোর্টস (সিএএস)-এর রায়ে অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক ফের উন্মুক্ত হয়ে গেল ওড়িশার এই মেয়ের সামনে! আন্তর্জাতিক মিডিয়া— নিউ ইয়র্ক টাইমস থেকে বিবিসি, যাকে বলছে ‘ঐতিহাসিক জয়’। যুদ্ধ জিতে দ্যুতির চোখ রিও অলিম্পিকে। বলছেন, ‘‘প্রচুর ঝড়-ঝাপটা গিয়েছে। আপাতত রিওর যোগ্যতা পেতে চাই। আমার অল্প বয়স, দেশকে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড থেকে অনেক পদক দেব।’’
কী এই হাইপারঅ্যান্ড্রোজেনিজম? এটা মানবদেহে যৌন হরমোনের অসাম্য। প্রধানত মহিলাদেরই এই সমস্যা হয়। যাঁরা এই সমস্যায় ভোগেন তাঁদের দেহে বেড়ে যায় পুরুষ যৌন হরমোন টেস্টোস্টেরন।
এক বছর আগে কমনওয়েলথের ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েন দ্যুতি। তবে কেন তাঁকে বাদ দেওয়া হল, তার কোনও সন্তোষজনক উত্তর তখন দিতে পারেননি অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (এএফআই) কর্তারা। শুধু বলা হয়, ট্রায়ালে ব্যর্থ হয়েছেন দ্যুতি। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক জানায়, দ্যুতি মেডিক্যালি ফিট নন। পরে অবশ্য মিডিয়ার সামনে আসে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যামেচার অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন (আইএএএফ)-এর রিপোর্ট। যা দ্যুতির হাইপারঅ্যান্ড্রোজেনিজমে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানানোর পাশাপাশি তাঁকে দু’বছর নির্বাসনেও পাঠায়।
এর পরেই আইএএএফ-এর রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সিএএস-এর দ্বারস্থ হন উনিশ বছরের অ্যাথলিট। যেখানে দেখা যায়, দ্যুতির শরীর মহিলাদের হলেও পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরনের আধিক্য রয়েছে। তবে ইভেন্টের সময় হরমোনের প্রভাবে প্রত্যক্ষ ভাবে দ্যুতি যে সুবিধা পাচ্ছেন তা প্রমাণ করতে পারেনি আইএএএফ। এর পরেই সিএএস দ্যুতির নির্বাসন বৈধ নয় বলে ঘোষণা করেছে সোমবার। রায় শুনে খুশি এএফআই কর্তারাও। প্রেসিডেন্ট আদিল সুমারিওয়ালা বলেছেন, ‘‘ও ফের দৌড়তে পারবে জেনে ভাল লাগছে।’’

Advertisement

ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইতিহাসে দ্যুতিই প্রথম মহিলা, যিনি জিতলেন হাইপারঅ্যান্ড্রোজেনিজমের বিরুদ্ধে। এর আগে ২০০৯-এ অন্য এক সমস্যার জেরে দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাথলিট ক্যাস্টার সেমেনিয়াকে প্রমাণ করতে হয়েছিল যে তিনি মহিলা। তিন বছর পর তিনি লন্ডন অলিম্পিকে ৮০০ মিটারে রুপোও জেতেন। দ্যুতিও সে রকমই ট্র্যাকে ফিরে কামাল করতে পারেননি কি না সেটাই দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন