প্রত্যয়ী: দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে বুমরা। ফাইল চিত্র
ঘরের মাঠে ও উপমহাদেশে টানা সাফল্য পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় পা দিয়ে শুরুতেই চরম ব্যর্থতার স্বাদ পেতে হল বিরাট কোহালি ও তাঁর দলকে।
এই এক ম্যাচে হারেই ভারতীয় দলের আত্মবিশ্বাস ভেঙে চুরমার? একেবারেই না। সদ্য অভিষেক হওয়া পেসার যশপ্রীত বুমরা এ কথা মানতে পুরোপুরি নারাজ। বরং তিনি এক ধাপ এগিয়ে এসে বলে দিলেন, ‘‘একটা টেস্টে হেরেই যদি আত্মবিশ্বাস শেষ হয়ে যায়, তা হলে তো টেস্ট ক্রিকেট খেলারই যোগ্যতা নেই আমাদের।’’
ভেঙে না পড়ে নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়াও— এটাই টিম ইন্ডিয়ার মন্ত্র এখন। সেটাই জানিয়ে দিলেন বুমরা। বলেন, ‘‘ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে চলাটাই জীবন। এমন একজন ক্রিকেটারও এই পৃথিবীতে নেই, যে ভুল করেনি।’’ জীবনের প্রথম টেস্টে চার উইকেট পেলেও দলের হারে মনমরা বুমরা বলছেন, ‘‘স্বপ্নের অভিষেক কখনওই বলা যাবে না। তবে ভুল থেকে যে শিক্ষাগুলো পেলাম, সে জন্য আমি খুশি। একজন বোলারের লক্ষ্যই থাকে দ্রুত উইকেট ফেলা। আমি ডিভিলিয়ার্সকে আউট করেছি।’’
কেপ টাউনে প্রথম ইনিংসে তাঁরা যে ভুল করেছিলেন, তা এখন উপলব্ধি করছেন বুমরারা। প্রথম ইনিংসে যে তাঁরা উইকেটের বাউ্স ঠিক মতো বুঝতে পারেননি, তা স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রথম ইনিংসের ভুল শোধরাতে দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা দু’দিক থেকে ওদের চাপে ফেলার চেষ্টা করি। লেংথে মন দিই, প্রথম ইনিংসে যে জায়গায় আমাদের ভুল হয়েছিল।’’
আরও পড়ুন: এই ভারতীয় দলে পরিবর্তন আনাটা বোকামি: ডোনাল্ড
নিউল্যান্ডস থেকে এ বার সেঞ্চুরিয়ন— ভারতীয় ক্রিকেটের লড়াইয়ের ময়দান বদলে গেলেও চ্যালেঞ্জটা খুব একটা বদলাচ্ছে না। সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্টস পার্কের বাইশ গজ কী নিয়ে অপেক্ষা করে আছে বিরাট কোহালিদের জন্য? দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম ওপেনার এইডেন মারক্রম বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘‘সাধারণত এখানে ভালই ব্যাটিং উইকেট হয়। যদিও আমি ঠিক নিশ্চিত নই, এ বারের পিচ কী রকম তৈরি করা হয়েছে।’’
তবে মারক্রমের একটা কথায় স্বস্তি পেতে পারেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানেরা। ‘‘এখানে কিন্তু প্রচুর বড় রান হয়েছে। আমি আশা করব, এখানেও ভাল ব্যাটিং পিচ হবে। আমার মনে হয়, অনেকটা কেপ টাউনের মতো পিচ হবে এখানে।’’ পাশাপাশি অবশ্য বোলারদের জন্যও আশার কথা শুনিয়ে রাখছেন মারক্রাম। বলছেন, ‘‘বোলারদেরও মনে হয় না এই পিচে নিরাশ হতে হবে। এখানের পিচে পেস এবং বাউন্স থাকবে। বোলাররাও সাহায্য পাবে।’’
ঘরের মাঠে নিজের খেলা নিয়ে যথেষ্ট উত্তেজিত ২৩ বছরের আরক্রাম। বলছেন, ‘‘এখানে আমি বড় হয়েছি। এখানে আমি ক্রিকেট খেলা দেখেছি, ক্রিকেট খেলেছি। সেই মাঠে ফিরতে পেরে দারুণ লাগছে।’’ নিজের ক্রিকেট জীবন নিয়ে এই ওপেনার বলেছেন, ‘‘গত দু’বছর আমার জীবন খুব ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। তবে আমি এই চ্যালেঞ্জ খুব উপভোগ করেছি।’’