নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাথায় চোট পেলেন ইমাম।ছবি : টুইটার।
ফের সেই ফিল হিউজ আতঙ্ক। এ বার তা তাড়া করল পাকিস্তানের ক্রিকেটার ইমাম-উল-হককে। আবু ধাবিতে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ছয় উইকেটে হারাল পাকিস্তান। কিন্তু ম্যাচের মধ্যে গভীর উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি হয় ইমাম মাথায় চোট পাওয়ায়। পরে অবশ্য তা কেটে যায়। ইমামকে নিউজিল্যান্ডের িবরুদ্ধে টেস্ট দলেও রাখা হয়েছে।
১৬ রানের মাথায় নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার লকি ফার্গুসনের একটি বাউন্সার সজোরে গিয়ে আঘাত করে ইমামের হেলমেটের গ্রিলে। বলটা লাগার পরে তিনি মাটিতে পড়ে যান। চোখ বন্ধ থাকলেও জ্ঞান হারাননি তিনি। হিউজের সেই ঘটনার আতঙ্ক তখন ফিরে এসেছিল মাঠে। ইমাম জ্ঞান না হারালেও আচ্ছন্ন ভাব তৈরি হয়। অ্যাম্বুল্যান্স ঢুকে মাঠ থেকে তখনই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রথমে পাকিস্তান দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২২ বছরের ক্রিকেটারের সিটি স্ক্যান করা হচ্ছে এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তবে পরে পাক ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, ইমামের স্ক্যান হয়ে গিয়েছে। কোনও রকম বিপদের লক্ষণ দেখা যায়নি। ‘‘ইমামের স্ক্যান রিপোর্ট ভাল। ইতিমধ্যেই তিনি দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এবং টিমের ডাক্তার তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন,’’ পাক ক্রিকেট বোর্ড বিবৃতিতে জানিয়েছে।
ইমামকে নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই পাকিস্তানের জয়ের দুই নায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং ফখর জামান। পেসার শাহিন ৩৮ রানে চার উইকেট নিয়ে জীবনের সেরা বোলিং করলেন। তাঁর দাপটে ৫০ ওভারে নিউজিল্যান্ড ২০৯-৯ স্কোরের বেশি তুলতে পারেনি। এর পর ফখর ফর্মে ফিরে ৮৮ রান করে পাকিস্তানকে জিতিয়ে দেন। ৪০.৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা। গত ছ’টি এক দিনের ম্যাচে মাত্র ৫৭ রান করেছিলেন ফখর। ব্যর্থতা কাটানোর জন্য এই ম্যাচকেই বেছে নেন তিনি।
এই জয়ের ফলে গত চার বছর ধরে নিউজিল্যান্ডের কাছে টানা ১২টি এক দিনের ম্যাচ হারার খারাপ রেকর্ডের উপর যবনিকা ফেলতে পারল পাকিস্তান। ২০১৪-তে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ২-৩ হার দিয়ে শুরু হয়েছিল পাকিস্তানের এই দুর্দশা। ২০১৫-তে নিজেদের দেশে নিউজিল্যান্ড ২-০ হারায় পাকিস্তানকে। পরের বছরে ফের নিজেদের দেশে একই ফলে জেতে তারা। এ বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড তাদের দেশে ওয়ান ডে সিরিজে ৫-০ হোয়াইটওয়াশ করে পাকিস্তানকে। চলতি সিরিজে আবু ধাবিতে প্রথম ম্যাচে ৪৭ রানে জিতেছিলেন রস টেলররা। এ দিন টেলরই নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন। ১২০ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন স্বীকার করেন, জেতার মতো স্কোরই তাঁরা তুলতে পারেননি। ‘‘এই পিচে এই রানটা যথেষ্ট ছিল না। আমরা উড়ে গিয়েছি,’’ বলেন তিনি।