মেসিদের দাঁড়াতেই দিল না মারিয়া-কাভানিরা।
ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগে প্যারিস সঁ জঁ-র মাঝমাঠের অন্যতম ভরসা লুকাস বলেছিলেন, “মেসিকে আটকে রাখা অসম্ভব। ওকে আটকে রাখার একমাত্র উপায়, বেঁধে রাখা।” মঙ্গলবার পার্ক দ্য প্রিন্সেস-এর সেই মহারণে কিন্তু কার্যক্ষেত্রে লুকাসরা ‘বেঁধে’ই রাখলেন মেসি-নেইমার-সুয়ারেজদের। দি মারিয়া, কাভানিদের দাপুটে আক্রমণে ৪-০ ফলাফলে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল বার্সেলোনা।
প্যারিসের কাছে ভ্যালেন্টাইনস ডে-র রাতের লড়াইটা ছিল বদলার। ২০১৪-১৫ মরসুমে কোয়ার্টার ফাইনালে এই বার্সেলোনার বিরুদ্ধে হেরেই শেষ হয়েছিল প্যারিসের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ স্বপ্ন। জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচের মতো কিংবদন্তির ম্যাজিকও মেসির বিরুদ্ধে সে দিন ছিল ম্লান। মেসিরা ফেভারিটের তকমা নিয়ে এলেও এই সঁ জঁ-কে হারাতে যে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে, সে বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। স্বপ্নের ফর্মে থাকা কাভানি-মারিয়ারা যে দু’বছর আগের সেই স্মৃতি মুছতে মরিয়া, তা বেঝা যাচ্ছিল ম্যাচের শুরু থেকেই। এ দিন একেবারে অন্য চেহারার সঁ জঁ-কে দেখল ফুটবল বিশ্ব। কাভানিদের দেখে প্রথম থেকেই মনে হচ্ছিল, রাতটা খুব একটা ভাল যাবে না মেসিদের। অ্যাঞ্জেল দি মারিয়া এবং জুলিয়েন ড্রেক্সলারের গতির কোনও উত্তর ছিল না বার্সা ডিফেন্সের কাছে। ম্যাচের ১৮ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে দলকে এগিয়ে দেন আর্জেন্তাইন উইঙ্গার। দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে অবশ্য কিছুটা হাত রয়েছে মেসির। তাঁর ভুলেই মাঝমাঠ থেকে প্রতি আক্রমণ শানায় সঁ জঁ। বল পেয়ে জার্মান স্ট্রাইকার জোরালো শটে পরাস্ত করেন বার্সা গোলরক্ষক স্টেগানকে। ড্রেক্সলারের গোলে ২-০ করে হোম টিম।
মেসিকে ‘বেঁধে’ই রাখল সঁ জঁ ডিফেন্স।
বিরতির পর আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় সঁ জঁ। ৫৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোলটি করেন মারিয়া। ৭১ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে বার্সা কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন কাভানি। এ দিন ছিল কাভানি এবং দি মারিয়ারর জন্মদিন। নিজেদের জন্মদিনে দলকে অসাধারণ উপহার দিলেন সঁ জঁ-র দুই তারকা। চার গোলে প্রথম পর্ব হেরে আগামী মাসে ক্যাম্প ন্যু-তে সঁ জঁ-র বিরুদ্ধে খেলতে নামবে বার্সা। ঘরের মাঠে চার গোলের ব্যবধান মেসিরা ঘোচাতে পারেন কি না সে দিকেই এখন তাকিয়ে বার্সা সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: মেসিকে আটকাতে গেলে বেঁধে রাখা ছাড়া উপায় কী
ছবি: এএফপি।