ফেডারেশন এবং অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের স্থানীয় সংগঠন কমিটির বিরুদ্ধে হঠাৎ-ই তোপ দাগলেন প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিংবদন্তি ফুটবলারের দাবি, দিল্লিতে বিশ্বকাপের উদ্বোধনের দিন অলিম্পিক্স, এশিয়াড, নেহরু কাপ-সহ জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়কদের যে ভাবে সম্মান জানানো হয়েছিল, সে রকমই সম্মান জানানো হোক অরুণ ঘোষ, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুভাষ ভৌমিক, শ্যাম থাপা, সুধীর কর্মকারদের। ‘‘কলকাতায় ফাইনাল হচ্ছে। উদ্বোধনের মতো ফাইনালেও দেশের হয়ে খেলা সব ফুটবলারকে সম্মান জানানো হোক,’’ বলছেন পি কে।
এমনিতে বিশ্বকাপের টিকিট বণ্টন নিয়ে ক্ষোভ ছিলই। ব্রাজিল-জার্মানি ম্যাচের আগের দিন নিজের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে তা আরও উসকে দিয়েছেন দেশের অন্যতম সফল কোচ। পি কে-র মন্তব্য, ‘‘যে ভাবে লটারি করে নামী ফুটবলারদের টিকিট দেওয়া হচ্ছে, সেটা অপমানকর।’’
আরও পড়ুন: সুযোগের খোঁজে থাকবে জার্মানি
দিল্লিতে পিকে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত থেকে সম্মান নিতে। স্মারকের সঙ্গে পেয়েছিলেন পাঁচ লাখ টাকার চেকও। চুনী গোস্বামী থেকে বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় থেকে সুনীল ছেত্রী— সবাই সম্মানিত হয়েছেন একই ভাবে। এ বার পিকে তাঁর সমসাময়িক সতীর্থ ও ছাত্র ফুটবলারদের হয়ে সওয়াল করায় সংগঠন কমিটির কর্তারা পাল্টা জোরাল প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘একটা নির্দিষ্ট যোগ্যতার মাপকাঠি মেনেই ফুটবলারদের ডাকা হয়েছিল দিল্লির অনুষ্ঠানে। দেশের প্রথম বিশ্বকাপে দেশের ফুটবলারদের যুক্ত করাই ছিল লক্ষ্য।’’ পাশাপাশি তাঁদের বক্তব্য, ‘‘টিকিট বণ্টনের জন্য রাজ্য ফুটবল ফেডারেশনগুলিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারাই ঠিক করছে কী ভাবে টিকিট দেওয়া হবে।’’ আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘‘বাংলায় ২২০ জন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ও বর্তমান ফুটবলার আছেন। টিকিট পাচ্ছি ৮৫টা। সে জন্যই লটারি করতে বাধ্য হচ্ছি। আর প্রদীপবাবু তো রবিবারের ব্রাজিল-জার্মানি ম্যাচের চারটি টিকিট চেয়ে নিয়েছেন। বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়েছেন দুটি। টিকিট নেই, তো কোথা থেকে দেব?’’