লালকেল্লায় ভাষণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ছবি: পিটিআই।
ভারতের ভবিষ্যৎ শক্তিশালী করতে খেলাধুলোর অবদান অনস্বীকার্য। উন্নত দেশ হয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে খেলাধুলোই। স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে, নতুন যে ক্রীড়ানীতি তৈরি হয়েছে তাতে তৃণমূল স্তর থেকে অলিম্পিক্স পর্যন্ত খেলাধুলোর কাঠামো আরও শক্তিশালী হবে।
মোদী বলেন, “খেলাধুলো হল উন্নতির অন্যতম প্রয়োজনীয় বিষয়। একটা সময় ছিল যখন ছেলেমেয়েরা খেলতে গেলে বাবা-মায়েরা বকাবকি করতেন। আমি খুশি যে সেই সময়টা বদলে গিয়েছে। এখন ছেলেমেয়েরা খেলাধুলো করলে অভিভাবকেরা খুশি হন।” দেশের উন্নতির পক্ষে এটা ভাল দিক বলে মনে করেন মোদী।
২০০১ সালের ক্রীড়ানীতির বদলে সম্প্রতি নতুন ক্রীড়ানীতি এসেছে। এর সাহায্যে সকল খেলাধুলোয় শক্তিশালী পরিকাঠামো, সঠিক প্রশাসন নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার দিকগুলো খেয়াল রাখা হবে।
মোদী আরও বলেন, “খেলাধুলোর উন্নতির স্বার্থে কয়েক দশক পরে নতুন ক্রীড়ানীতি এনেছি আমরা। তৃণমূল স্তর থেকে অলিম্পিক্স পর্যন্ত খেলাধুলোর উন্নতি হবে এর সাহায্যে। দেশের প্রতিটা কোণে যাতে কোচিং, ফিটনেস এবং পরিকাঠামো থাকে, সেটা সুনিশ্চিত করতে চাই আমরা।”
প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ক্রীড়া সংস্কৃতিতে ফিটনেস অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্থূলতার মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকেও সক্রিয় ভাবে অংশ নিতে বলেছেন তিনি। মোদীর কথায়, “ফিটনেস এবং খেলাধুলো নিয়ে কথা বলার আগে আমি স্থূলতা নিয়েও কথা বলতে চাই। গোটা দেশেই এটা একটা বিরাট সমস্যা। ভবিষ্যতে প্রতি তিন জনের একজন স্থূলত্বে আক্রান্ত হবেন। স্থূলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধে তেল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া উচিত।”