নেইমার জেতালেন ব্রাজিলকে, হার রোনাল্ডোহীন পর্তুগালের

লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, নেইমার জুনিয়র। বিশ্ব ফুটবলের তিন মহাতারকা দেশের জন্য কতটা অপরিহার্য ফের প্রমাণ হয়ে গেল বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী রাউন্ডে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:২৭
Share:

লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, নেইমার জুনিয়র।

Advertisement

বিশ্ব ফুটবলের তিন মহাতারকা দেশের জন্য কতটা অপরিহার্য ফের প্রমাণ হয়ে গেল বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী রাউন্ডে।

তবে তিন তারকার এক জন সেটা বোঝালেন মাঠে খেলে। আর বাকি দু’জন মাঠে নামতে না পেরে।

Advertisement

বুধবার ভারতীয় সময় ভোরে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে গোল করে ব্রাজিলকে জেতালেন নেইমার। সেখানে ভেনেজুয়েলার মত লাতিন আমেরিকার গ্রুপে তলানিতে থাকা দলের বিরুদ্ধে ড্র করল মেসিহীন আর্জেন্তিনা। চোটের জন্য না থাকা মেসির টিম তো না হয় কোনও রকমে পয়েন্ট পেয়েছে, রোনাল্ডোহীন ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল সেটাও পারল না।

প্রথম যোগ্যতা অর্জনকারী ম্যাচ খেলতে নেমেই ধাক্কা খেল তারা। চোটের কারণে সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে রোনাল্ডোকে ছাড়াই নামতে হয় পর্তুগালকে। ইউরো ফাইনালে রোনাল্ডো চোট পেয়ে বেরিয়ে গেলেও কোনও এক এডের পর্তুগালকে ট্রফি তুলে দিয়েছিলেন গোল করে। মাঠের বাইরে থেকে সে দিন সতীর্থদের তাতিয়েছিলেন রোনাল্ডো। এ দিন সে রকম কোনও সুযোগ ছিল না। অপ্রত্যাশিত ভাবে তাই সুইৎজারল্যান্ডের কাছে ০-২ হারতে হল ইউরো চ্যাম্পিয়নদের।

ঠিক উল্টো ছবি ব্রাজিলের। অলিম্পিক্স ফাইনালের সোনাজয়ী পারফরম্যান্সের মতো এদিনও নেইমার দুরন্ত ফর্মে ছিলেন। ম্যাচের দুটো গোলের পিছনেই তাঁর ভূমিকা ছিল। খেলা শুরুর দু’মিনিটের মাথায় তাঁর পাসে গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন মিরান্ডা। এর পরে অবশ্য মারকুইনহোসের আত্মঘাতী গোলে কলম্বিয়া ম্যাচে ফিরে এসেছিল। কিন্তু এলেও নেইমারের দাপটে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ম্যাচের ৭৪ মিনিটের মাথায় গোল করে ব্রাজিলকে তিন পয়েন্ট এনে দেন বার্সেলোনার মহাতারকা।

মেসিকে ছেড়ে ড্র করল আর্জেন্তিনা। এলএম টেন তখন বার্সেলোনায় পোষ্যের সঙ্গে। ছবি: এএফপি।

নেইমার যখন মাঠে আগুন ঝরাচ্ছেন তখন তাঁর ক্লাব সতীর্থ মেসির দেশের সমর্থকদের এক রাশ হতাশা নিয়ে এ দিন মাঠ ছাড়তে হল। উরুগুয়ের বিরুদ্ধে দেশের জার্সিতে ফিরে এসেই মেসি গোল করে আর্জেন্তিনাকে জিতিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ম্যাচেই কুঁচকিতে চোট পান তিনি। তাই এ দিন নামতে পারেননি। সেই সুযোগে শুধু আর্জেন্তিনার পয়েন্ট নষ্ট করা নয়, আর একটু হলে অঘটন ঘটিয়েও ফেলছিল ভেনেজুয়েলা। ম্যাচের প্রথমার্ধে এগিয়েও যায় তারা। এমনকী দ্বিতীয়ার্ধের আট মিনিটের মাথায় সেই ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় তারা। সৌজন্যে জুয়ানপি আর জোসেফ মার্টিনেজের গোল।

আর্জেন্তিনার হয়ে ব্যবধান কমান আটলেটিকো মিনেইরোর স্ট্রাইকার লুকাস প্রাতো। তাও শেষ মুহূর্তে লজ্জার মুখে পড়তে হতে পারত নতুন কোচ এদগার্দো বাউজার টিমকে। যদি না নিকোলাস ওটামেন্ডি ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে সমতা ফেরাতেন। ম্যাচ শেষ হওয়ার সাত মিনিট আগে তার ভলিতেই হারের লজ্জা থেকে বাঁচে মেসির দেশ। এই ম্যাচে এক পয়েন্ট পাওয়ায় গ্রুপে শীর্ষস্থান হারাল আর্জেন্তিনা। তিনে নেমে গেল তারা। আর্জেন্তিনার ড্র আর প্যারাগুয়েকে ৪-০ হারানোর সুবাদে লাতিন আমেরিকার গ্রুপে একে চলে গেল লুইস সুয়ারেজের উরুগুয়ে।

রোনাল্ডোর পর্তুগাল সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক আধটা সুযোগ তৈরি করা ছাড়া কিছুই দেখাতে পারেনি। যে সুযোগে ব্রেল এমবোলো এবং আদমির মেহমেদির গোলে তিন পয়েন্ট ঘরে তুলে নেয় সুইসরা।

কোয়ালিফায়ার অভিযানের শুরুটা ভাল গেল না ইউরো রানার্স ফ্রান্সেরও। বেলারুশের মত দুর্বল দলের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করল দিদিয়ের দেঁশর টিম। বেলারুশের অনামী ডিফেন্সের কাছে বারবার আটকে গেলেন গ্রিজম্যান, পোগবারা। একই অবস্থা ২০১৪ বিশ্বকাপের রানার্স নেদারল্যান্ডসেরও। ইউরোয় যোগ্যতা অর্জন করতে না পারার পরে এ বার কোয়ালিফায়ারেও অনুজ্জ্বল ডাচরা। ১-১ ড্র করল তারা। তবে জয় পেল বিশ্বের দুনম্বর দল বেলজিয়াম। সাইপ্রাসকে ২-০ হারাল তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন