অনুশীলনে টিম অ্যাটলেটিকো কলকাতা। ছবি: সংগৃহিত।
সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে কলকাতার এই মুহূর্তে দরকার মাত্র এক পয়েন্ট। মানে একটা ড্র-ই যথেষ্ট। হাতে রয়েছে দুটো ম্যাচ। এমন অবস্থায় মঙ্গলবার ঘরের মাঠে কেরলের বিরুদ্ধে নামতে চলেছে মলিনা ব্রিগেড। গত রবিবার দিল্লি গোয়াকে হারাতেই কলকাতাকে তিন নম্বরে নামিয়ে দু’য়ে উঠে এসেছে জামব্রোতার দল। এই অবস্থায় এক পয়েন্ট দরকার হলেও কেরলের বিরুদ্ধে জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবছে না টিম কলকাতা। ১২ ম্যাচে এখন কলকাতার পয়েন্ট ১৮। জিতলে দিল্লিকে পিছনে ফেলে দু’নম্বর জায়গা আবার ফিরে পাবে কলকাতা। দলের মার্কি হেল্ডার পোস্তিগাও সে ব্যাপারে নিশ্চিত। বলেন, ‘‘কাল আমাদের সামনে খুব কঠিন ম্যাচ। আমাদের একটাই লক্ষ্য হল জয়। এটিকে জিতেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে চায়। এটাই লক্ষ্য কিন্তু সব সময় সেটা সম্ভব হয় না। মনে রাখতে হবে একটা ভাল দলের বিরুদ্ধে আমরা খেলতে নামছি। তবুও আমরা আমাদের সেরাটাই দেব।’’
কেরলের বিরুদ্ধে ফরোয়ার্ডে কী কম্বিনেশন খেলাবেন মলিনা সেটা এখনও জানা নেই। তবে সে নিয়ে মাথা ব্যথা নেই পোস্তিগার। তাঁর সঙ্গে কে জুটি বাঁধবেন তা নিয়েও ভাবতে চান না তিনি। বলনে, ‘‘ইয়ান হিউম ও জুয়ান বেলেনকোসো এমন দু’জন প্লেয়ার যাঁরা সেরা। কোচ সিদ্ধান্ত নেবেন আমি কার সঙ্গে খেলব। আমার জন্য প্লেয়ার নয় দল গুরুত্বপূর্ণ। কারও সঙ্গেই খেলতে কোনও সমস্যা নেই।’’ কোচ মলিনা অবশ্য ভাবছেন প্রতিপক্ষের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে। তাঁর মতে অনেক বেশি লং বল খেলে কেরল। বলেন, ‘‘কেরল শুরু করেছিল লং বল খেলেই। এখন অনেক বেশি পজেশন আর কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল খেলছে। শুরুতে তারা দুটো ম্যাচ হেরেছিল। কিন্তু এখন তারা সেরা চারে রয়েছে। কিন্তু আমরাও অনেক উন্নতি করেছি। জয়ের দন্যই কাল মাঠে নামব।’’
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে সামেঘ দ্যুতির কেলা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। গতকাল জ্বর ছিল তাঁর। এ ছাড়া এনরিকে সেরেনো ও বিদ্যানন্দ সিংহের চোট রয়েছে। যে কারণে এই তিন জনের খেলা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। কোচ বলেন, ‘‘বেশ কয়েকজন প্লেয়ারের খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তার মধ্যে দ্যুতিও রয়েছে।’’
কলকাতার মতো একই পয়েন্ট নিয়ে খেলতে নামছে কেরল। যদিও তার আগে আইএসএলকেই একহাত নিলেন কোচ স্টিভ কোপেল। তাঁর মতে, তিনি বুঝতে পারছেন না এই টুর্নামেন্ট কেন হচ্ছে। বলেন, ‘‘আমি বোঝার চেষ্টা করছি এই লিগ কেন হচ্ছে। যতদিনে দল তৈরি হচ্ছে ততক্ষণে খেলা প্রায় শেষ। টিম কম্বিনেশন তৈরি করে একটা ভাল জায়গায় আসতে ১০-১২টি ম্যাচ লাগে। এটা কি প্লেয়ারদের উন্নতি করার চেষ্টা না একটা পরম্পরা তৈরির চেষ্টা চলছে। আমি জানি না। যেখানে ইয়ং প্লেয়ারদের জন্য কোনও ভাল ব্যবস্থা নেই। যদিও আইএসএল-এর দায়িত্ব ছিল ফুটবলের উন্নতি করা। তবেই না ভারত ফুটবলের দেশ হিসেবে উঠে আসবে।’’
এর মধ্যেই মঙ্গলবার কলকাতার বিরুদ্ধে নামার আগে মলিনার দলকে সমীহই করছেন কেরল কোচ। হোম ম্যাচে কলকাতার খারাপ ফল নিয়ে তিনি ভাবছেন না। বরং হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের অপেক্ষায় তিনি। তাঁর মতে ওই ম্যাচগুলোয় কলকাতার ভাগ্য খারাপ ছিল।
আরও খবর
ছ’ম্যাচ নির্বাসিত হতে পারেন হোসে মোরিনহো