মধ্যমণি প্রফুল্ল পটেল। আই লিগের ভবিয্যৎ ঠিক করার সভা। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে।
আইএসএল এবং আই লিগ অদূর ভবিষ্যতে মিলে যেতে পারে কি?
ভারতীয় ফুটবলে গত দু’বছর ধরে চলা সেই বিতর্কে বৃহস্পতিবার কার্যত ইন্ধন দিয়ে রাখলেন ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল। এ দিন দিল্লিতে আই লিগের ক্লাবগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ফে়ডারেশন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘ভারতীয় ফুটবলকে ভবিষ্যতে একটা লিগের পথে হাঁটতেই হবে। তবে সেটা আপাতত নয়। দেরি আছে। ফেডারেশন সব পক্ষকে নিয়েই এ ব্যাপারে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেবে। কোনও পক্ষকেই বাইরে রেখে এই সিদ্ধান্ত হবে না।’’
তবে পাশাপাশি প্রফুল্ল পটেল এটাও স্পষ্ট করে দেন, এই মুহূর্তে আই লিগকেই ‘প্রাইমারি লিগ’ হিসেবে গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। এ দিনের সভায় সালগাওকর বাদে আই লিগে অংশগ্রহণকারী সব ক্লাবের প্রতিনিধিরাই হাজির ছিলেন। এআইএফএফের তরফে প্রেসিডেন্ট ছাড়াও ছিলেন সচিব কুশল দাস, আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর।
সভায় আই লিগের বিপণন নিয়ে ক্লাবগুলোর মতামত জানতে চাওয়া হলে কলকাতার দুই প্রধানের তরফেই আই লিগের মুমূর্ষু বিপণনের দিকে ফেডারেশন প্রেসিডেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। যা সমর্থন করেন পুণে এফসি-সহ অন্য ক্লাবের প্রতিনিধিরাও। ক্লাবগুলোর তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, ফেডারেশন এবং ক্লাবের তরফে যৌথ উদ্যোগে তহবিল গঠন করে আই লিগের বিপণনের উদ্যোগ নেওয়া হোক। যা টিভি স্বত্ব, বিপণনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো দেখবে। যা মেনে নিয়ে টেকনিক্যাল এবং মার্কেটিং কমিটি গঠনের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে ফেডারেশন।
সভায় ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের জটিলতা নিয়ে ক্লাবগুলোর অসুবিধার প্রসঙ্গ উঠলে প্রফুল্ল পটেল জানিয়ে দেন, লাইসেন্সিংয়ের ব্যাপারটা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের বিষয়ভুক্ত। সে ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং-এর বিষয়টি লঘু করা হলে এএফসি কাপে খেলতে পারবে না ভারতের কোনও ক্লাবই। এর পরেই সর্বসম্মত ভাবে ক্লাব লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া মেনে নেন অংশগ্রহণকারী ক্লাবের প্রতিনিধিরা। পুণে এফসি-র প্রতিনিধি চিরাগ তান্না বলেন, ‘‘ক্লাব লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া নিয়ে চাপ থাকলেও দীর্ঘ মেয়াদে এর সুফল রয়েছে।’’
ফুটবলারদের যোগ্যতা অনুযায়ী মাইনে নির্ধারণ নিয়ে অালোচনা হয়। ‘স্যালারি ক্যাপ’ নিয়ে ওই আলোচনার পর আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর সভায় বলে দিয়েছেন, ‘‘বিষয়টি টেকনিক্যাল কমিটিকে পর্যালোচনা করে দেখতে বলা হয়েছে। আমরাও দেখব।’’