ভারতীয় ড্রেসিংরুমে এসে নতুন বিরাট কোহালিকে আবিষ্কার করেছেন পৃথ্বী। ছবি: পিটিআই।
ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ওপেনার হিসেবে টেস্ট খেলার মুখে দাঁড়িয়ে রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী পৃথ্বী শ। এর আগে, ১৯৫৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৭ বছর ২৬৫ দিনে টেস্ট অভিষেক ঘটেছিল বিজয় মেহরার। এ বার পৃথ্বীর ঘটবে ১৮ বছর ৩২৯ দিনে। সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অভিষেক ঘটেছিল সচিন তেন্ডুলকরের। ১৬ বছর ২০৫ দিনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলেছিলেন সচিন। এই তালিকায় পৃথ্বীর আগে রয়েছেন ১২জন ভারতীয় ক্রিকেটার।
ভারতীয় ড্রেসিংরুমের এই মুহূর্তের সব চেয়ে কম বয়সি ক্রিকেটার যে প্রথম দিকে একটু নার্ভাস ছিলেন না, এমন নয়। সেই নার্ভাস ভাবটা অবশ্য কেটে গিয়েছে তাঁর। কী ভাবে? বিসিসিআই টিভি-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পৃথ্বী বলেছেন, ‘‘প্রথমে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে ঢুকে আমার একটু নার্ভাস লেগেছিল। কিন্তু সবাই আমাকে দারুণ ভাবে উৎসাহ দেয়। বিরাট ভাই আর রবি স্যর বলেন, এখানে কেউ সিনিয়র-জুনিয়র নেই। ড্রেসিংরুমের পরিবেশই টেনশন কাটিয়ে দেয়।’’
আজ, বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে রাজকোটে সিরিজের প্রথম টেস্টে কে এল রাহুলের সঙ্গে ওপেন করবেন পৃথ্বী। তার আগে যে ভাবে অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছেন, তাতে খুশি মুম্বইয়ের এই তরুণ ব্যাটসম্যান। বলেছেন, ‘‘আমি নেট প্র্যাক্টিসের সময়ও আউট হতে চাই না। আসলে ম্যাচে যে রকম খেলব, সেটা মাথায় রেখেই নেটে ব্যাট করতে হয়। তাই উইকেট ছুড়ে দিতে চাই না। এখানে সঞ্জয় বাঙ্গার স্যর আর রঘুর কাছ থেকে থ্রো ডাউন নিয়ে খুশি।’’
ভারতীয় ড্রেসিংরুমে এসে নতুন বিরাট কোহালিকে আবিষ্কার করেছেন পৃথ্বী। তিনি বলেছেন, ‘‘মাঠে আমরা যে বিরাট ভাইকে দেখি, মাঠের বাইরে সে-ই বিরাট ভাইকে আর দেখা যায় না। বাইরে ও কিন্তু খুব আমুদে। আমার সঙ্গে কথা বলার সময় বেশ হাসি-ঠাট্টা করছিল। যে ভাবে মরাঠি বলার চেষ্টা করছিল, সেটা দেখে খুব হাসি পাচ্ছিল। নিজেকে অনেকটা হাল্কা মনে হচ্ছিল।’’ সব দেখে শুনে পৃথ্বীর মনে হয়েছে, পুরোটাই একটা ‘টিম বন্ডিং’ প্রক্রিয়া। দলের মধ্যে একাত্মতা বাড়ানোর জন্য সব সময় চেষ্টা করা হয়। পৃথ্বীর মন্তব্য, ‘‘দলে সবাই সবাইকে সাহায্য করে। আমাকেও করেছে। তাই একটা দারুণ অনুভূতি হচ্ছে।’’ আগের দিন অজিঙ্ক রাহানের কাছ থেকে যে পরামর্শ পেয়েছিলেন পৃথ্বী, সেটাই পাচ্ছেন কোচ রবি শাস্ত্রীর কাছ থেকে। পৃথ্বীর কথায়, ‘‘রবি স্যর বলেছেন খেলাটাকে উপভোগ করতে। আরও বলেছেন, ‘যে ভাবে রঞ্জি খেলেছ, যে ভাবে এত দিন ব্যাট করেছ, সে ভাবেই খেলে যাও।’ আমার কাছে এই সব পরামর্শের গুরুত্ব অনেক। যে সুযোগটা পাচ্ছি, তাতে আমি গর্বিত।’’