বিজয় হাজারে

প্রাক্তন কোচ আর অচেনা রাজকোট পিচ বাংলার চিন্তা

বুধবার সকালে যখন সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের বাইরে প্র্যাকটিস এরিনার নেটে ব্যস্ত বাংলার ক্রিকেটাররা, ভিতরে তখন ধুন্ধুমার লড়াই চলছে মুম্বইয়ের বোলার ও দিল্লির ব্যাটসম্যানদের মধ্যে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:৩৯
Share:

বুধবার সকালে যখন সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের বাইরে প্র্যাকটিস এরিনার নেটে ব্যস্ত বাংলার ক্রিকেটাররা, ভিতরে তখন ধুন্ধুমার লড়াই চলছে মুম্বইয়ের বোলার ও দিল্লির ব্যাটসম্যানদের মধ্যে।

Advertisement

পঁচিশ ওভারের মধ্যেই সহবাগ-গম্ভীরদের দলের অবস্থা দাঁড়ায় ৯৪-৫। দিল্লি ব্যাটিংয়ের বেহাল দশার খবর পৌঁছয় বাংলার নেটে। বাংলা শিবিরে শুরু হয় জল্পনা, তা হলে কি টিপিক্যাল রাজকোট উইকেট নয় এখানে? “মনে হচ্ছে আমরা যে রাজকোট উইকেট চিনি, এটা তার চেয়ে কিছুটা আলাদা।” সন্ধ্যায় বাংলার কোচ অশোক মলহোত্র রাজকোট থেকে ফোনে কথাগুলো বলার সময় তাঁর গলায় যেন একটু চিন্তাই ধরা পড়ল। আরও যোগ করলেন, “শুনলাম এ দিন উইকেটে ভাল বাউন্স পেয়েছে বোলাররা। সেটাই কাজে লাগিয়েছে। বোধহয় সে জন্যই দিল্লির ব্যাটিংয়ের ওই অবস্থা।”

বিজয় হাজারের টিভি কমেন্ট্রি করতে যাওয়া প্রাক্তন বাংলা অধিনায়ক দীপ দাশগুপ্ত আবার বললেন, “সত্যিই টিপিক্যাল রাজকোট উইকেট নয় এটা। একটু স্পঞ্জি। বল থমকে ব্যাটে আসছে। যার জন্য স্ট্রোক প্লে-তে সমস্যা হতে পারে। আমি বলব এই উইকেটে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করে নেওয়া ভাল।” বৃহস্পতিবার কোয়ার্টার ফাইনালে বিদর্ভর বিরুদ্ধে বাংলার ব্যাটসম্যানরাও সমস্যায় পড়বেন না তো? অশোক বলছেন, “উইকেটের অবস্থা বুঝে ব্যাট করতে হবে আমাদের ছেলেদের। আশা করি, অরিন্দম, মনোজ, লক্ষ্মীর মতো অভিজ্ঞরা বুঝেই খেলবে।”

Advertisement

লক্ষ্মীরতন শুক্ল আবার অন্য দলের পারফরম্যান্স বা অন্য ম্যাচের উইকেট নিয়ে ভেবে চাপ বাড়াতে চান না। বাংলা অধিনায়ক বললেন, “নিজেদের নিয়েই বেশি ভাবছি। অন্যরা কে কত রানে আউট হল, ভেবে লাভ কী? এটা নক আউট। একটা হার মানেই বিদায়। এটা মাথায় রেখে সকলকে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টাই করতে হবে। ব্যস, এটাই বলেছি দলের সবাইকে।”

বিপক্ষে যখন সেই কোচ, যিনি পরপর দু’বছর বাংলাকে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে তুলেছিলেন (২০০৫-’০৭), তখন ম্যাচটা ‘স্পেশ্যাল’ বইকি। তাই আজ বাংলার বড় বাধা হয়ে উঠতে পারেন লক্ষ্মীদের প্রাক্তন কোচ পরশ মামরে। বাংলার এই দলে থাকা লক্ষ্মী, মনোজ, অরিন্দম, সৌরাশিস, দিন্দা, শিবসাগর, সৌরভ সরকাররা পরশের বাংলা টিমেও থাকায় তাঁদের শক্তি-দুর্বলতা তাঁর ভালই জানা। প্রাক্তন বাংলা কোচের অভিজ্ঞতার অস্ত্রেই ঘায়েল হবে না তো মলহোত্রের বাংলা? পরশ নিজে অবশ্য তা মানতে চাইছেন না। এ দিন ফোনে বলেন, “লক্ষ্মী, মনোজদের সঙ্গে দু’বছর দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম, এটাই কেবল মনে আছে। ওদের প্লাস-মাইনাসগুলো এখন আর তেমন মনে নেই। বাংলা ভাল দল। এ কথা মাথায় রেখেই আমার দলকে তৈরি করেছি। কাল দু’দলই জিততে মরিয়া। ম্যাচটা জমবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন