mamata banerjee

বাংলার গৌরব সম্মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বাংলার রঞ্জি জয়ী ক্রিকেটার ইন্দুভূষণ রায়

ফেসবুকে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২২:৫৮
Share:

খেলাশ্রী প্রকল্পের মাপকাঠি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বাংলার রঞ্জি ট্রফি জয়ী দলের ওপেনার ইন্দুভূষণ রায়। নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প খেলাশ্রী। এবার সেই প্রকল্পের মাপকাঠি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন ১৯৮৯-৯০ মরসুমে বাংলার রঞ্জি ট্রফি জয়ী দলের ওপেনার ইন্দুভূষণ রায়। সোমবার সাগরময় সেনশর্মার সঙ্গে এবার বাংলার গৌরব সম্মান পেয়েছেন বাংলার প্রধান নির্বাচক শুভময় দাস। এই বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রঞ্জি জয়ী দলের এই সদস্য। ফেসবুকে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

Advertisement

আই বি রায় ফেসবুকে লিখেছেন, “খেলাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে যেভাবে রাজ্য সরকার ক্রীড়াবিদদের সম্মান জানাচ্ছে, তা প্রশংসনীয়। এতে অতীত ও বর্তমানের খেলোয়াড়রা তাঁদের পারফরম্যান্সের জন্য স্বীকৃতি পাচ্ছেন। কিন্তু কীসের ভিত্তিতে পুরস্কার প্রাপকদের নাম চূড়ান্ত হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। বাংলার যেসব এলিট ক্রিকেটারের নাম তালিকায় দেখেছি, তাতে আমিও গত কয়েক বছর ধরেই প্রত্যাশা করেছিলাম আমার নামও বাংলার গৌরব সম্মানের জন্য বিবেচিত হবে।”

তিনি আরও লিখেছেন, “স্বাধীনতার পর বাংলা একবারই রঞ্জি জিতেছিল। সেই দলের প্রায় সবাই এই সম্মান পেয়ে গিয়েছেন। আমার নাম কোন যোগ্যতামানে আটকে যাচ্ছে, সেটাই জানার চেষ্টা করছি। মনে রাখবেন, দুটি রঞ্জি ফাইনাল খেলেছি। বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ৭টি শতরান-সহ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫১.৯৫ গড় রয়েছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলার জনা ছয়েক ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং গড় ৫০-এর উপর। ৩১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ২,২৮৬ রান রয়েছে। একদিনের ম্যাচ খেলেছি ৯টি। সেখানে রয়েছে ২০২ রান। এছাড়া ইরানি কাপ, অবশিষ্ট ভারত একাদশের হয়েও খেলেছি। ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহনবাগানে দশ বছর কাটিয়েছি। তিন বছর বিসিসিআইয়ের ম্যাচ রেফারি ছিলাম। গত বছর সিএবি-র টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য ছিলাম। এত কিছুর পরেও নানা পুরস্কার পেতে যখন অন্যদের দেখছি, তখন ভাবতে হচ্ছে যে, রাজ্যের স্বীকৃতি পেতে আর কী করা দরকার?”

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন