নায়ক ফের র্যান্টি।
ইস্টবেঙ্গল-১ : শিবাজিয়ান্স-০
(র্যান্টি)
কর্নেল গ্লেন বনাম র্যান্টি মার্টিন্সের গোল-যুদ্ধ ফের শুরু। গত বার আই লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন র্যান্টি। দু’ নম্বর জায়গাটা নিয়েছিলেন ত্রিনিদাদ টোবাগো বিশ্বকাপার গ্লেন। এ বার শুরু থেকেই সেই যুদ্ধ চালু।
গ্লেন এগিয়ে ছিলেন। মঙ্গলবার প্রজাতন্ত্র দিবসের সন্ধেয় র্যান্টি ছুঁয়ে ফেললেন প্রতিদ্বন্দ্বীকে। দু’জনেরই হয়ে গেল চার গোল। শুধু বাগান স্ট্রাইকারকে ছোঁয়াই নয়, ইস্টবেঙ্গলের পরিত্রাতার ভূমিকায় নাইজিরিয়ান গোলমেশিন ফের আবির্ভূত। বাংলাদেশের টুর্নামেন্ট থেকে ফেরার পরে র্যান্টির বিদায় পরোয়ানা প্রায় জারি হয়ে গিয়েছিল লাল-হলুদে। কিন্তু পুরো মরসুমের চুক্তি থাকায় এবং দু’-একজন কর্তার বিরোধিতায় শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এখন যেন দেখাচ্ছে, সেটাই সাপে বর হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। ডার্বি-সহ চার ম্যাচে চার গোল। র্যান্টি দেখাচ্ছেন পুরনো চাল আজও ভাতে বাড়ে।
ডিএসকে শিবাজিয়ান্সকে এ বারই ফ্রাঞ্চাইজি টিম হিসেবে খেলার জন্য বেছেছে ফেডারেশন। ভাবা হয়েছিল, পুণের টিম বেঙ্গালুরুর মতোই ভাল দল গড়ে চমকে দেবে। কিন্তু সেটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না মাঠে। ডেরেক পেরেরার মতো অভিজ্ঞ কোচ আনলেও টিমের পিছনে তেমন টাকা খরচ করেনি তারা। মাত্র দু’জন বিদেশি নিয়ে এ দিন বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য়ের টিমের বিরুদ্ধে নেমেছিল শিবাজিয়ান্স। সুব্রত পাল, ইজরায়েল গুরুংয়ের মতো দু’-চার জন চেনা ফুটবলার ছাড়া টিমটার বাকি অংশ অনভিজ্ঞ। তিন ম্যাচের মধ্যে এখনও তারা একটাও জিততে পারেনি। শুধু একটা ড্র। তবে সেই টিমের বিরুদ্ধে জিততেও ইস্টবেঙ্গলের এ দিন প্রায় নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হয়। রফিকের একটা শট পোস্টে লেগে ফেরার পর র্যান্টি গোলে বল পাঠিয়ে লাল-হলুদের মান বাঁচালেন বটে, কিন্তু প্রশ্ন থেকে গেল শনিবার পরের ম্যাচে বেঙ্গালুরুর মতো শক্তিশালী টিমের বিরুদ্ধে অর্ণব-মেহতাবরা কী করবেন?
হতে পারে মাত্র বাহাত্তর ঘণ্টা আগে ডার্বির মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচ খেলে এসেছে ইস্টবেঙ্গল। সেই ক্লান্তি হয়তো এ দিন মাঠে তাদের সমস্যায় ফেলেছে। কিন্তু লম্বা লিগে এ রকম সময়ের ব্যবধানে ম্যাচ তো খেলতেই হয় সব দেশেই। ইস্টবেঙ্গল তিন পয়েন্ট পেয়ে আপাতত লিগ তালিকার দু’ নম্বরে উঠে গেল বটে। তবে ভাগ্য সহায় না থাকলে ডংদের এ দিন ম্যাচ জিতে ফিরতে হত না। নিশ্চিত একটা গোল মিস করেন বিপক্ষের পিয়ের ডিকা। চাপের মুখে ইজরায়েল গুরুংয়ের শট নিজেদের গোলেই ঢুকিয়ে দিচ্ছিলেন লাল-হলুদের রাহুল ভেকে।
তবে ইস্টবেঙ্গল কোচ টিমের পারফরম্যান্স খুশি। ‘‘ডার্বির ক্লান্তি তো ছিলই। ও রকম হাইভোল্টেজ ম্যাচ খেলার পর আমার ছেলেরা এ দিন যা খেলেছে তাতে আমি খুশি। আমার মনে হয় না ডিফেন্স নিয়েও খুব বেশি চিন্তার কারণ আছে। যেটুকু ভুল হচ্ছে, সেটা ফুটবলে হতেই পারে। পরের ম্যাচগুলোতে দেখবেন আমার টিম আরও ভাল খেলছে,’’ খেলা শেষে বলে দিলেন বিশ্বজিৎ।
ইস্টবেঙ্গল: রেহনেশ, সৌমিক, অর্ণব, বেলো, রাহুল, অবিনাশ (জোয়াকিম), মেহতাব, রফিক, ডং, জাইরু, র্যান্টি।