পঞ্জাব ভুলে যেও না, কেকেআর টিমটা একেবারে অন্য জিনিস

বোলাররা যদি কোনও রাজ্যপাটের শাসনভার নিতে পারে, তা হলে তার প্রথম শহরটায় ঢোকার চাবিকাঠি গৌতম গম্ভীর। ফলকনামায় লেখা থাকবে হয়তো; ‘‘যখন খুব কম লোকই আমাদের বিশ্বাস করেছিল, ও নিজেকে তুলে দিয়েছিল আমাদের হাতে। যখন বাকিরা আমাদের দূরে রেখে দিয়েছিল, তখন ও আমাদের জন্য লাল কার্পেট পেতে দিয়েছিল।

Advertisement

রবি শাস্ত্রী

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৫৫
Share:

বোলাররা যদি কোনও রাজ্যপাটের শাসনভার নিতে পারে, তা হলে তার প্রথম শহরটায় ঢোকার চাবিকাঠি গৌতম গম্ভীর। ফলকনামায় লেখা থাকবে হয়তো; ‘‘যখন খুব কম লোকই আমাদের বিশ্বাস করেছিল, ও নিজেকে তুলে দিয়েছিল আমাদের হাতে। যখন বাকিরা আমাদের দূরে রেখে দিয়েছিল, তখন ও আমাদের জন্য লাল কার্পেট পেতে দিয়েছিল। যখন অন্যরা আমাদের অতিথি ভূমিকার বেশি কিছু দেয়নি, ও আমাদের নিয়েই গোটা চিত্রনাট্য রচনা করেছিল!’’

Advertisement

চূড়ান্ত গুনতিতে কেকেআর স্কোয়াডের অর্ধেকটা ভর্তি বোলারে। স্পিনারদের নক্ষত্রপুঞ্জ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের তরুণ আলো থেকে লম্বু মর্কেল— পেস, স্পিন, সুইং, সিম, অর্থোডক্স অথবা চায়নাম্যান। এও এক এমন মেনু যেখানে টেবিলে সব ধরনের মশলাওয়ালা ডিশ সাজানো রয়েছে। যখন প্রত্যেকে ভাবে ২০ ওভারে ১০ উইকেট নেওয়ার দাবি একটু বাড়াবাড়ি, তখন গম্ভীর ভাবে ওই কাজে এক ডজন বলই যথেষ্ট। গ্রেট ওয়াসিম আক্রম বড় মঞ্চে ওদের সাহায্য করে।

শুরুতে কিন্তু ব্যাপারটা এ রকম ছিল না। মনে করুন, আইপিএলের প্রথম মরসুমের কথা। ওদের টিম শিটে গেইল, পন্টিং, ম্যাকালামের মতো ব্যাটিং ছিল গাঙ্গুলির পাশাপাশি। তিনটে খারাপ মরসুম কাটানোর পরে বদলটা আসে। ২০১১ থেকে স্টিয়ারিংয়ে গম্ভীরের উপস্থিতি অবশ্যই কিছু ঘটিয়েছে। টি-টোয়েন্টির সেরা থিওরিগুলো গভীর ভাবে বুঝতে গেলে একটা অবশ্যম্ভাবী দর্শনের সুগন্ধের দরকার— আপনার কোনটার বেশি প্রয়োজন? দু’জন ব্যাটসম্যানের থেকে একশোর কাছাকাছি রান, নাকি টপ অর্ডারের প্রত্যেকের থেকে ৩০-৪০ রান? ক্ষমতা অনুযায়ী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রথম চার ব্যাটসম্যানই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারে। কিন্তু বাস্তবে কি সেটা প্রত্যেক কুড়ি ওভারের ইনিংসে সম্ভব? ভাগ্যের এমনই পরিহাস যে, আরসিবির মতো শক্তিশালী ব্যাটিং টিমের রবিবার শেষ চার ওভার প্রায় রান-খরায় কাটল! কেন একটা ঘোড়ারই পিছনে সব বাজি ঢালার বদলে কেউ সেই টাকাটা ভাগ করে সবার উপর লাগায় না?

Advertisement

তবে ওপেনাররা বাদে কেকেআরের বাকি ব্যাটিং অর্ডার বেশ ফ্লেক্সিবল। যে লাইন আপের স্লটগুলোয় যখন তখন অদলবদল ঘটে। সব আবহাওয়ার জন্য ওদের যথাযথ লোক আছে। ওপেনাররা অবশ্যই ভিত তৈরি করে। তবে শেষের দিকে মারকুটে অলরাউন্ডাররা কেবল ছক্কাতেই কাজ সারে।

পঞ্জাব শেষ ম্যাচের জয়ের তেজে তেতে থাকবে। তবে কেকেআর অন্য বস্তু। পঞ্জাবের ব্যাটিং গভীরতা তেমন বেশি নয়, কেকেআর আবার যেখানে উইকেট তোলার ব্যাপারে ফিট টিম। পঞ্জাবের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের ২০ ওভার খেলে দেওয়াটাই মঙ্গলবারের মোহালির জন্য আদর্শ। যদি অবশ্য কাজটা অতটা সহজ হয়!

আরও পড়ুন:
আইপিএলের সময়সূচি
আইপিএলের পয়েন্ট টেবল

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন