সুপার কাপে না খেলার জন্য কড়া শাস্তির মুখে পড়তে চলেছে আই লিগের ‘বিদ্রোহী’ ক্লাবগুলো। ওয়াকিবহাল মহলের মতে ১২ এপ্রিল ভুবনেশ্বরে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের লিগ কমিটির সভাতেই বিরাট অঙ্কের জরিমানা করা হতে পারে। তবে জোটের অন্যতম শরিক হওয়া সত্ত্বেও বেঁচে যেতে পারে মোহনবাগান! কারণ, সুপার কাপের জন্য ফুটবলারদের নাম নথিভুক্তই করেনি সবুজ-মেরুন শিবির।
ফেডারেশন কাপ বন্ধ করে আই লিগ ও আইএসএলের দলগুলোকে নিয়ে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয় গত বছর থেকে। দু’টি লিগের প্রথম ছয়টি দল সরাসরি খেলবে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। বাকি দলগুলোকে যোগ্যতা অর্জন পর্ব খেলে শেষ ষোলোয় উঠতে হবে।
আই লিগের আটটি ক্লাবের বিদ্রোহের জেরে এ বছর সুপার কাপ হওয়া নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। ক্লাবগুলোর দাবি ছিল, ফেডারেশন সভাপতি প্রফুল্ল পটেল আলোচনায় না বসলে সুপার কাপে দল নামাবে না। তাই ভুবনেশ্বরে পৌঁছে গিয়েও যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে মাঠে নামেনি মিনার্ভা এফসি, আইজল এফসি ও গোকুলম এফসি। এর পরেই ফেডারেশনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয় আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন সভাপতি। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। ক্লাব জোট এ বার দাবি করে নতুন ভাবে প্রতিযোগিতা শুরু করতে হবে। অর্থাৎ, ফের মিনার্ভা, আইজল ও গোকুলমকে খেলতে দিতে হবে। ফেডারেশন তা নাকচ করে জানিয়ে দেয়, সুপার কাপ না খেললে কড়া শাস্তির মুখে পড়বে ক্লাবগুলো। তাতেও না খেলার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন ক্লাব জোটের কর্তারা। কিন্তু প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সিটি এফসি। ফলে শাস্তির খাঁড়া এখন আই লিগের ছয় দলের মাথার উপরে।
ফেডারেশনের এক কর্তা জানালেন, সুপার কাপে খেলার জন্য লিখিত সম্মতি দিয়েছিল ক্লাবগুলো। মোহনবাগান ছাড়া বাকি সব দলই ফুটবলারদের নাম নথিভুক্ত করেছিল। তাই ফেডারেশনের সংবিধান অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। কী শাস্তি হতে পারে? জানা গিয়েছে, আর্থিক জরিমানা বা নির্বাসন। অথবা দু’টোই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে বিরাট অঙ্কের আর্থিক জরিমানা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।