মনোজ তিওয়ারি। রঞ্জিতে বিদায়ের মুখে। -প্রেম সিংহ
বাংলা বনাম গুজরাত রিপ্লে হবে? না হবে না?
উত্তর নেই।
মধ্যপ্রদেশ ম্যাচ?
জয় দূরের ব্যাপার। তিন পয়েন্ট আসবে কী না, কে জানে। পেয়েও বিশেষ লাভ নেই। তামিলনাড়ু প্রথম ইনিংস ‘লিড’ নিয়ে ফেলেছে গুজরাতের বিরুদ্ধে।
উপরের দু’টো প্রশ্ন একটা অন্যটার সঙ্গে জড়িতও বটে। বাংলা বনাম যদি গুজরাত ম্যাচের যদি রিপ্লে হয়, রঞ্জি নকআউটে সম্ভাবনা বেঁচে থাকবে বাংলার। কিন্তু যদি না হয়, তা হলে বলা যেতে পারে বাংলার রঞ্জি অভিযান কার্যত শেষ। কার্যত শব্দটা লিখতে হচ্ছে, ক্রিকেটের অনিশ্চয়তার কথা ভেবে। শেষ দিন বাংলা-মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু-গুজরাত ম্যাচের মহানাটকীয় ওলটপালট সম্ভাবনার কথা ভেবে। রিপ্লের উপর ভরসা না রাখলে, হিসেবটা সহজ। বাংলাকে জিততে হবে। তামিলনাড়ুকে হারতে হবে। হাতে পড়ে একটা দিন। এবং দু’টো ম্যাচেই দু’টো করে ইনিংস এখনও শেষ হয়নি। ব্যাপারটা তাই একপ্রকার অসম্ভব। তামিলনাড়ুর লিড মানে (৩ পয়েন্ট) বাংলার সরাসরি জয়েও লাভ নেই।
আর মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে বাংলার খেলা নিয়েও বিশেষ কিছু বলার নেই। কোহালির টিমকে চলতি টেস্ট সিরিজে ক্যাচ ফেলার রোগ যেমন তাড়া করছে, বাংলাকে করছে মোক্ষম মুহূর্তে ম্যাচ থেকে হারিয়ে যাওয়ার রোগ। গত তিন-চারটে ম্যাচে হয়েছে, আবারও হল। এ দিনও মধ্যপ্রদেশের প্রথম সাত উইকেট ১৬৬ রানের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল বাংলা। নিশ্চিত ফলো অন। বাংলা তো প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৪৭৫। কিন্তু কোথায় কী? ওই ১৬৬-৭ শেষ পর্যন্ত হল ২৮৭-৮। এবং দিনের শেষে ৩৬৩-৮। অঙ্কিত শর্মা ব্যাটিং ৯০। ঈশ্বর পাণ্ডেকে লোকে বোলার বলে জানত। বঙ্গ বোলাররা তাঁকে ভাল ব্যাটসম্যান বানিয়ে দিলেন! ঈশ্বর তো ৬৩ রান করে গেলেন। লজ্জা বললেও কম বলা হয়।
সোজাসুজি বললে, বাংলাকে এখন রঞ্জি নক আউট পর্বে বাঁচিয়ে রাখতে পারে রিপ্লে। কিন্তু শুক্রবার রাত পর্যন্ত সিএবির কাছে তা নিয়ে কোনও খবর নেই। বোর্ডের সিনিয়র টুর্নামেন্ট কমিটি বাংলা-গুজরাত রিপ্লে বাতিল করার পরে ফের চিঠি দিয়েছিল সিএবি। ধরে নেওয়া হচ্ছে, এ দিন সুপ্রিম কোর্ট রায়ের কারণে ব্যস্ত ছিল বোর্ড। শনিবার বা রবিবার কিছু একটা আসতে পারে। শোনা গেল, মনোজ তিওয়ারিদের ফেরার ফ্লাইট টিকিট এখনও কাটা হয়নি। সিএবি কর্তারা বলাবলি করছেন যে, আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে কিছু না হলে ধরে নিতে হবে সব শেষ। এবং তখন বসতে হবে মরসুমের ময়নাতদন্ত নিয়ে। যা খবর, কয়েকটা কঠোর সিদ্ধান্ত নিলেও অবাক হওয়ার থাকবে না।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলা ৪৭৫-৯ ডিঃ (শ্রীবৎস ২২৫ নট আউট, ঈশ্বরন ৮০, পুনীত দাতে ৪-১০৫, চন্দ্রকান্ত সাকুরে ৩-১০৫), মধ্যপ্রদেশ ৩৬৩-৮ (অঙ্কিত শর্মা ৯০ নট আউট, রজত পতিদার ৮৬, সায়ন ঘোষ ৪-৮৭)।