আইএসএলের পর খুব বেশি দিন বিশ্রাম পাবেন না আই লিগে খেলা ফুটবলাররা। বিশেষত যে দু’টি টিম ফাইনাল খেলবে, সেই টিম দু’টির ফুটবলাররা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে পারেন। কারণ ২০ ডিসেম্বর আইএসএলের ফাইনাল। তার ২০ দিন বাদেই আই লিগে খেলতে নামতে হবে ফুটবলারদের।
আই লিগের সিইও সুনন্দ ধরের দাবি, ‘‘৯ জানুয়ারি আই লিগ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ক্রীড়াসূচি এখনও তৈরি হয়নি।’’ পুণে এফসি, ভারত এফসি আদৌ কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার উপরই আই লিগের ক্রীড়াসূচি নির্ভর করছে। সুনন্দবাবু দিল্লি থেকে ফোনে বলছিলেন, ‘‘প্রফুল্ল পটেল (ফেডারেশন সভাপতি) আমাদের জানিয়েছেন, পুণের একটি টিম আই লিগ খেলবে। সেটা পুণে এফসি না ভারত এফসি সেটা অবশ্য জানি না।’’ তবে পুণের দু’টি টিমই আই লিগ খেলতে একেবারেই রাজি নয়। এ বছর আর নতুন করে কোনও ফ্রাঞ্চাইজি টিমও যোগ দিচ্ছে না। সুনন্দবাবুর কথানুযায়ী, বেঙ্গালুরু থেকে একটি টিম দরপত্র জমা দিয়েছিল। তবে বেঙ্গালুরু থেকে ইতিমধ্যেই একটি ফ্রাঞ্চাইজি টিম (বেঙ্গালুরু এফসি) রয়েছে বলে আবেদনকারী নতুন টিমটি ছাড়পত্র পায়নি। তবে কি এ বার আই লিগে টিম কমে যাচ্ছে? ফেডারেশন সূত্রের খবর, সে রকম পরিস্থিতি হলে দ্বিতীয় ডিভিশন থেকে দু’টি টিমকেও আই লিগের মূল পর্বে খেলার ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে। এমনিতে দ্বিতীয় ডিভিশন থেকে একটি টিমের মূল পর্বে ওঠার কথা।
দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগ এ বার আবার নতুন ফর্ম্যাটে চালু হচ্ছে। এই প্রথম হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলা হবে আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনেও। ডেম্পো, মহমেডান স্পোর্টিং সহ মোট দশটি টিমই নিজেদের মাঠে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। ১৪ নভেম্বর আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশন শুরু হতে চলেছে। পাঁচটি করে টিম নিয়ে পূর্ব এবং পশ্চিম দু’টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। এদের মধ্যে লিগের খেলা হওয়ার পর মোট চারটি টিম মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। সুনন্দ ধর বলছিলেন, ‘‘দ্বিতীয় ডিভিশনের লিগকে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই হোম-অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোট দশটি জায়গায় আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের ম্যাচ খেলা হবে।’’