লক্ষ্য: দ্রাবিড়-ধোনির পরামর্শ মেনে এগোচ্ছেন ঋষভ। —ফাইল চিত্র।
এখন থেকেই অনেকে বলা শুরু করেছেন, ভারতীয় ক্রিকেটে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির জায়গা নেবেন ঋষভ পন্থ। ক্রিকেট মহলের কেউ কেউ এও মনে করছেন, ভারতীয় টেস্ট দলে ঋষভের সুযোগ পাওয়াটা ধোনির কাছে অশনি সংকেত। অথচ, এই সাফল্যের রাস্তায় ধোনি-মন্ত্রই ঋষভের কাছে বড় অস্ত্র হয়ে উঠেছে। যে কথা জানিয়েছেন স্বয়ং ঋষভই।
ভারতীয় বোর্ডের ওয়েবসাইটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঋষভ বলেছেন, ‘‘আমার যখনই প্রয়োজন হয়েছে, আমি মাহি ভাইয়ের সাহায্য নিয়েছি। আমার আইপিএল চুক্তি থেকে শুরু করে উইকেটকিপিং— সব ব্যাপারেই আমি মাহি ভাইয়ের পরামর্শ চেয়েছি আর পেয়েছি।’’ উইকেটকিপিংয়ের ক্ষেত্রে তাঁর অনুজকে কী ভাবে সাহায্য করেছেন ধোনি? ঋষভের কথায়, ‘‘মাহি ভাই আমাকে সব সময় বলেছে, কিপিংয়ের ক্ষেত্রে মাথা এবং হাতটা খুবই জরুরি। শরীরের ভারসাম্যের ব্যাপারটা পরে আসবে। সবার আগে আসবে মাথা এবং হাতের বোঝাপড়া। ওটা ঠিক থাকলেই অনেকটা কাজ হয়ে যাবে। মাহি ভাইয়ের পরামর্শ মতোই আমি চলেছি। যা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।’’
পাশাপাশি ভারতীয় ড্রেসিংরুমের কথাও বলেছেন ঋষভ। যে ড্রেসিংরুমের পরিবেশ এই তরুণ ক্রিকেটারকে মুগ্ধ করেছে। ঋষভের মন্তব্য, ‘‘ভারতীয় ড্রেসিংরুমে সবাই সবাইকে সাহায্য করে। ড্রেসিংরুমের ইতিবাচক মনোভাবটা আমার সব চেয়ে ভাল লেগেছে।’’ তবে আরও এক জনের কথাও বলেছেন ঋষভ, যিনি এখন আর এই ভারতীয় ড্রেসিংরুমের অংশ নন।
তিনি ঋষভের কোচ রাহুল দ্রাবিড়। অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দল থেকে যাঁকে পেয়েছেন ঋষভ। যাঁকে নিয়ে দিল্লির এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘‘রাহুল স্যর সব সময় আমাকে বলেন, ধৈর্য ধরতে হবে। সেটা মাঠে হোক কী মাঠের বাইরে। উনি এও পরামর্শ দিয়েছেন, লাল বলের ক্রিকেটে আরও পরিশ্রম করতে হবে। আমি আদতে ইতিবাচক ব্যাটসম্যান। স্ট্রোক খেলতে ভালবাসি। কিন্তু পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে হবে। ম্যাচের গতি অনুযায়ী নিজের খেলা বদলাতে হবে। এগুলোই আমি শিখেছি রাহুল স্যরের কাছ থেকে।’’ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে ঋষভের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি সব সময় চেয়েছিলাম, টেস্ট দলে সুযোগ পেতে। আমার একটা স্বপ্ন পূরণ হল। টেস্টে সুযোগ পাওয়ার খবরটা পেয়ে একটা অসাধারণ অনুভূতি হয়েছিল। তবে শুধু আমি নই, আমার পরিবার, আমার ছোটবেলার কোচ তারক সিংহ স্যর— সবাই দারুণ খুশি হয়েছিলেন। তারক স্যরের কাছে আমার ক্রিকেটের হাতেখড়ি। উনি সব সময় চাইতেন, আমি যেন টেস্ট দলে সুযোগ পাই। আমি সুযোগ পাওয়ায় স্যরও গর্বিত।’’
ঋষভের মধ্যে অনেকেই নাকি অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ছায়া দেখতে পেয়েছেন। এই নিয়ে ঋষভের মন্তব্য, ‘‘উইকেটকিপার হিসেবে গিলক্রিস্ট আমার আদর্শ। আমি ছোটবেলা থেকে ওঁর খেলা দেখে এসেছি। কিন্তু এই মুহূর্তে অনেকের থেকেই অনেক কিছু শিখছি। যেমন রাহুল দ্রাবিড় স্যর, অজিঙ্ক রাহানে, বিরাট কোহালি। আমি প্রতিদিন নিজের খেলায় উন্নতি করতে চাই।’’