ছবি: রয়টার্স
ইডেনের সঙ্গে রোহিত শর্মার রোম্যান্সটা চলছেই। দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন রোহিতের ব্যাটিং আবার দেখিয়ে দিল ও কেমন ক্ষমতা রাখে। রোহিতের ইনিংসটা এল একেবারে ঠিক সময়ে। ভারত যখন কিছুটা হলেও চাপে ছিল। ঋদ্ধির সঙ্গে জুটিতে রোহিত পাল্টা জবাব দিল ব্ল্যাক ক্যাপসদের।
রোহিতের শট খেলার মধ্যে একটা রাজকীয় ব্যাপার আছে। কোনও তাড়াহুড়ো করে না। আর যখন ছন্দে থাকে তার থেকে সুন্দর দৃশ্য আর হয় না। এই সিরিজে দুটো খুব গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছে রোহিত। দুটোই দ্বিতীয় ইনিংসে। আর এগুলো এমন সময় এসেছে যখন দলের কাছে সেটা সবচেয়ে জরুরি ছিল। একটা ইনিংস কানপুরে আর একটা রবিবার ইডেনে। আমার বিশ্বাস দুটোর মধ্যে পরিস্থিতির বিচারে দ্বিতীয়টা এগিয়ে থাকবে। কেন না তখন ব্ল্যাক ক্যাপসরা ইডেন টেস্টে জমিয়ে বসার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল।
দুরন্ত ক্রিকেটের আরও একটা দিন গেল। শহরের ক্রিকেটপ্রেমীদের নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ম্যাচ উপভোগ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আবহাওয়া-দেবতাকে ধন্যবাদ। রবিবার গ্যালারিতে ভিড় জমানো দর্শকরা তাই টাফ ক্রিকেটের মজা নিতে পারলেন। স্কিলের পরীক্ষা হল দু’দলেরই। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দাপট দেখাল ভারতই।
ঋদ্ধির ইনিংসটাও মনে রাখতে হবে। প্রথম ইনিংসে ওর ব্যাটেই ভারতের তিনশো রানের গণ্ডি পেরনো নিশ্চিত হয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসেও রোহিতের সঙ্গে ওর পার্টনারশিপটার গুরুত্ব কম নয়। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটের পিছনে গ্লাভস হাতেও ঋদ্ধি একটা ভরসার জায়গা। সঙ্গে লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতে ও যে ধারাবাহিকতাটা দেখাচ্ছে তাতে টিম ম্যানেজমেন্ট প্রথম একাদশ বাছা নিয়ে অনেক নমনীয় হওয়ার সুবিধে পাবে।
ইডেনের পিচ কিন্তু টেস্ট ম্যাচের জন্য আদর্শ। ব্যতিক্রম হয়তো বিরাট কোহালির ক্ষেত্রে যে বলটা হঠাৎ নিচু হয়ে গিয়েছিল, সেটা। তবে ভারতের ক্যাপ্টেন কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ও ছন্দে থাকলে দৃশ্যটা কত সুন্দর লাগে।
নিউজিল্যান্ড খুব লড়াই করেছে ঠিকই কিন্তু এই টেস্টে পায়ের নীচে জমি পেতে গেলে ওদের ব্যাটসম্যানদের উঠে দাঁড়াতে হবে। তৃতীয় দিন সকালে ওরা প্রথম ইনিংসের ব্যাটিংটা অনেক দূর টেনে নিয়ে যেতে পেরেছে, তবে চতুর্থ দিন বল নিশ্চয়ই আরও ঘুরতে শুরু করবে। সঙ্গে পিচে আরও অসমান বাউন্সের সম্ভাবনা থাকায় নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জটা ভীষণ কঠিন।