দুই কিংবদন্তিকে নিয়ে আবেগের বিস্ফোরণ

রোনাল্ডোর আশ্বাস ট্রফির, মেসির ফেরার অপেক্ষায় দেশ

দুই মহাতারকার মধ্যে দূরত্ব এখন প্রায় সাত হাজার কিলোমিটার। কিন্তু কোথাও যেন দেশের আবেগ মিলিয়ে দিয়েছে তাঁদের। ইউরো সেমিফাইনালের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা আগে পর্তুগাল সমর্থকেরা হঠাৎই হাতের সামনে পেয়ে গেলেন তাঁদের ‘ঈশ্বরকে’। সেলফি তুললেন, অটোগ্রাফ নিলেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৬ ০৪:০২
Share:

খোশমেজাজে রোনাল্ডো। প্র্যাকটিসে যাওয়ার আগে কোয়ারেসমার সঙ্গে ঠাট্টা।

দুই মহাতারকার মধ্যে দূরত্ব এখন প্রায় সাত হাজার কিলোমিটার। কিন্তু কোথাও যেন দেশের আবেগ মিলিয়ে দিয়েছে তাঁদের।

Advertisement

ইউরো সেমিফাইনালের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা আগে পর্তুগাল সমর্থকেরা হঠাৎই হাতের সামনে পেয়ে গেলেন তাঁদের ‘ঈশ্বরকে’। সেলফি তুললেন, অটোগ্রাফ নিলেন। সঙ্গে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে জানিয়ে দিলেন, ইউরো স্বপ্নপূরণে তাঁর পাশে আছে গোটা দেশ।

আবেগের বিস্ফোরণ ঘটছে অন্য এক মহাদেশেও। গত কাল রাতে ‘মেসি, ফিরে এসো’ দাবি নিয়ে বুয়েনস আইরসের রাস্তায় নেমেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। লিওনেল মেসি অবশ্য এখন ব্যস্ত বাহামায় ছুটি কাটাতে। তারই মধ্যে আর্জেন্তাইন প্রচারমাধ্যমের খবর, মেসি নাকি অবসর ভেঙে ফিরে আসবেন। এলএম টেনের এক সতীর্থ বলেছেন, ‘‘২০১৮ বিশ্বকাপ নিয়ে মেসি ভীষণ ফোকাসড। আমি নিশ্চিত, ও আবার দেশের হয়ে খেলবে।’’

Advertisement

পর্তুগালের টিম হোটেলের বাইরে তখন অপেক্ষা করছে প্রায় হাজার খানেক সমর্থক। ওয়েলসের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের আগে এ যেন অভিনব ‘ফ্যান বন্ডিং’ সেশন। হোটেলের গেট খুলে বেরিয়ে এলেন রোনাল্ডো। সঙ্গে সঙ্গে পর্তুগাল ট্রেনিং বেসে যেন উৎসবের জোয়ার। সমর্থকদের মধ্যে কয়েক জন তো কেঁদেই ফেললেন মহানায়ককে হাতের সামনে পেয়ে। মোবাইলের ফ্ল্যাশ আর ‘রনি রনি’ চিৎকারে স্বাগত জানানো হয় সিআর সেভেনকে।

উৎসবের আমেজেও আবার লক্ষ্যে স্থির রোনাল্ডো। হাতে মাইক নিয়ে যিনি উপস্থিত ভক্তদের আশ্বস্ত করলেন, খুব শিগগির দেশের জার্সিতেও তিনি পর্তুগালকে ট্রফি দিচ্ছেন। ‘‘ধন্যবাদ সমর্থকদের। তোমরা পাশে থাকো। আমাদের আরও উদ্বুদ্ধ করো,’’ বলে গেলেন রোনাল্ডো।

কিছু দিন আগে ইউরোয় মাইক্রোফোন-বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রোনাল্ডো। হাঙ্গেরি ম্যাচের আগে রাগের মাথায় এক সাংবাদিকের ‘বুম’ ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন লেকে। কিন্তু রোনাল্ডো কিছু ছোঁয়া মানেই তো সেটা সোনা। তাই এ দিন সেই মাইক্রোফোনটা ডুবুরি দিয়ে লেক থেকে উদ্ধার করা হয়। এবং জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মাইক্রোফোনটা এ বার নিলাম করা হবে।


মেসি তখন বাহামায়।

রোনাল্ডো যখন তাঁর দেশকে ট্রফি দেওয়ার থেকে দু’ম্যাচ দূরে দাঁড়িয়ে, তাঁর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মেসির জন্য পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উল্টো। ঠিক সাত দিন আগে যিনি কোপা ফাইনালে হারের পরে জানেয়েছিলেন দেশের হয়ে আর খেলবেন না। কিন্তু এলএম টেনের এই অবসর-বিস্ফোরণের রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেননি ভক্তরা। দেশের রাস্তায় হোর্ডিং লাগিয়ে হোক বা মেসির মূর্তি বানিয়ে, আর্জেন্তিনা পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছে, জাতীয় সম্পদকে আবার দলে ফেরত চায় তারা। এলএম টেনের এক সতীর্থ আবার জানিয়ে দিয়েছেন, সমর্থকদের আশা হয়তো পূর্ণ হবে। দেশের জার্সিতে মেসি-পর্ব এখানেই শেষ নয়। এখনও লিও স্বপ্ন দেখেন রাশিয়া বিশ্বকাপ জেতার। ‘‘মেসি খেলতে চায় রাশিয়া বিশ্বকাপে। ওর এখনও দেশকে অনেক কিছু দেওয়া বাকি আছে। ওর স্বপ্ন বিশ্বকাপ জেতা,’’ বলেছেন মেসির খুব কাছের এক সতীর্থ। আর্জেন্তাইন সংবাদমাধ্যমও যে জল্পনা বাড়িয়ে জানায়, বছর শেষ হওযার আগেই নাকি আর্জেন্তিনার হয়ে ফের মাঠে নামবেন এলএম টেন।

ছবি টুইটার

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন