কান্নায় ভেঙে পড়া মডরিচকে জড়িয়ে ধরছেন রোনাল্ডো। ছবি: টুইটার।
তিনি এমনই। সবটাই করেন মন থেকে। এ জন্যই হয়তো বিতর্কের কেন্দ্রে থাকেন তিনি। ইউরোর শুরুতে আইসল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করার পর কারও সঙ্গে হাত না মিলিয়েই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন রোনাল্ডো। ফুটবল বিশ্বে তা নিয়ে উঠেছিল সমালোচনার ঝড়। আর শনিবার ইউরোর মাঠ দেখাল এক অন্য রোনাল্ডোকে। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই খুদে সমর্থকের সঙ্গে উৎসবে মাতলেন। তার আগেই দাঁড়িয়েছেন বন্ধুর পাশে।
ক্রোয়েশিয়াকে শেষ মুহূর্তের গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের উচ্ছ্বাস থেকে হঠাৎই ছিটকে বেরিয়ে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। পর্তুগালের উৎসবে নয় রোনাল্ডোকে দেখা গেল ক্রোয়েশিয়ার হতাশায়। খুদে সমর্থকের আনন্দে। ৯০ মিনিটের ম্যাচ ০-০ ভাবে শেষ হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে রোনাল্ডোর পা থেকে আসা গোলমুখি শট কোনও রকমে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন গোলকিপার। সেই ফিরতি বলই ক্রোয়েশিয়ার গোলে পাঠান রিকার্ডো কুইরেসমা। তখন ম্যাচের বয়স ১১৭ মিনিট।
খুদে ভক্তর সঙ্গে রোনাল্ডো।
ওই সময় গোল হজম করে তিন মিনিচের মধ্যে আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব ছিল না ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে। তেমনটা হয়ওনি। হেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন লুকা মডরিচ। পতুর্গাল শিবিরে তখন উৎসব। কিন্তু রিয়েল মাদ্রিদ সতীর্থর কষ্টের মধ্যে উৎসবে মাততে পারেননি সিআর সেভেন। ছুটে গিয়েছিলেন মডরিচের কাছে। হতাশ ক্লাব সতীর্থকে বুকে টেনে সান্ত্বনা দেন। রোনাল্ডোর সঙ্গে পেপেও যোগ দেন সেই তালিকায়।
আরও খবর
জেতালেন বাক্কা, বাঁচালেন ওসপিনা, কোপায় তৃতীয় কলম্বিয়া