রোনাল্ডোর ফ্রি কিকে গেইল-কাণ্ড

খেলার মাঠে দুর্ঘটনা হয়েই থাকে। কিন্তু যখন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতো সেটপিস ওস্তাদ ফুটবলার ফ্রি-কিক নেন, তখন গোলকিপারের সঙ্গে দর্শকেরও হয়তো সতর্ক থাকা উচিত! ঘটনাটা কী? ক’দিন আগেই বের্নাবাওয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের ওয়ার্ম আপ সারছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবলাররা। যেখানে মাঠের এক দিকে একমনা রোনাল্ডো একা ব্যস্ত ছিলেন নাকল বল ফ্রি-কিক প্র্যাকটিসে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:০১
Share:

নাকলবল-প্র্যাকটিসে রোনাল্ডো। ডান দিকে তাঁর ফ্রি কিকে আঘাত পাওয়া বাচ্চাটির সঙ্গে। ছবি টুইটার।

খেলার মাঠে দুর্ঘটনা হয়েই থাকে। কিন্তু যখন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতো সেটপিস ওস্তাদ ফুটবলার ফ্রি-কিক নেন, তখন গোলকিপারের সঙ্গে দর্শকেরও হয়তো সতর্ক থাকা উচিত!

Advertisement

ঘটনাটা কী? ক’দিন আগেই বের্নাবাওয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের ওয়ার্ম আপ সারছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবলাররা। যেখানে মাঠের এক দিকে একমনা রোনাল্ডো একা ব্যস্ত ছিলেন নাকল বল ফ্রি-কিক প্র্যাকটিসে। ঘরের মাঠে রিয়াল সমর্থকেরা প্রিয় তারকাদের ওয়ার্ম আপ থেকেই উত্সাহ দিতে আগেভাগে গ্যালারির দখল নিয়ে নিয়েছিলেন। ঠিক তখনই রোনাল্ডোর সজোরে মারা শট গিয়ে গ্যালারিতে উড়ে গিয়ে এক খুদে সমর্থকের মুখে সপাটে লাগে। যন্ত্রণাক্লিষ্ট মুখ ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সঙ্গে বসা সেই বাচ্চা ছেলেটি। রোনাল্ডো নিজেও অপ্রস্তুতে পড়ে যান। চিন্তিত সিআর সেভেন ওয়ার্ম আপ ফেলে দৌড়ে গ্যালারিতে যান দেখতে, খুদে ভক্তের আঘাত কতটা মারাত্মক। বাচ্চা ছেলেটির অঘটনের রেশ কাটাতে অভিনব ভাবে খুদে নিজের জার্সিও তাকে দিয়ে দেন রোনাল্ডো।

হাইভোল্টেজ ডার্বির আগে রোনাল্ডোর এহেন সৌজন্যবোধ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ভূয়সী প্রশংসিত হয়। অনেকেই পোস্ট করেন, ‘‘ বাচ্চা ছেলেটার জন্য রোনাল্ডো যা করলেন, ওঁর মাপের অন্য কোনও ফুটবলার হয়তো করতেন না। রোনাল্ডো সত্যিই ভদ্রলোক।’’

Advertisement

রোনাল্ডো-কীর্তি আর তার পরবর্তী সৌজন্যবোধ মনে করিয়ে দিচ্ছে এক ক্রিকেট মহাতারকার অনুরূপ কাণ্ডকে। আরসিবির ক্রিস গেইল ২০১২ আইপিএলে পুণে ওয়ারিয়র্স ম্যাচে একটা ছক্কা এমন হাঁকিয়েছিলেন যে, বল গ্যালারিতে বসে থাকা ছোট্ট মেয়ে টিয়ার মুখে এসে লাগে। দ্রুত টিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সেই ম্যাচের সেরা হয়ে গেইল বলেছিলেন, তিনি এগারো বছরের টিয়াকে হাসপাতালে দেখতে যাবেন। গিয়েওছিলেন। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেইল বলেছিলেন, ‘‘টিয়া আমাকে বলেছে তুমি ওভার বাউন্ডারি মারা কিন্তু বন্ধ কোরো না ক্রিস।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন