জন্মদিনে তাঁর ব্যাটের আদলে তৈরি কেক কাটছেন ভিভ রিচার্ডস। সিডনির এক পাঁচতারা হোটেলে। ছবি টুইটার।
স্যর ভিভিয়ান রিচার্ডসের জন্মদিনে সচিন তেন্ডুলকরের অভিনন্দন। জন্মদিনে শুধু এটাই নয়, আরও একটা বিশেষ উপহার পেলেন বিশ্ব ক্রিকেটের এই ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি। বিখ্যাত ব্যান্ড আইএনএক্সএস-এর ড্রামার জন ফ্যারিসের উদ্যোগে ভিভের লেখা গানের অ্যালবাম।
একসময় ভিভকে যে নামে ডাকা হত, সেই ‘স্মোকিং জো’ এই অ্যালবামের নাম। তার গানে ভিভ লিখেছেন ‘আই অ্যাম আ ম্যান টু ক্যাচ, আই অ্যাম আ ব্যাটসম্যান, আই অ্যাম আউট হিয়ার টু প্লে, দিস ইজ নাইস, লেটস গো’ (আমি একজন ব্যাটসম্যান, আমাকে ধরো, আমি খেলতে নেমেছি, দারুণ ব্যাপার, চলো যাওয়া যাক)। সচিন টুইট করে ভিভকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর সময় এই অ্যালবামের কথাও উল্লেখ করেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, “শুভ জন্মদিন ভিভ রিচার্ডস। জন ফ্যারিস এই কিংবদন্তির জন্য একটা গান প্রকাশ করেছেন। সেটা শুনে নিন একবার।”
ভিভ-কন্যা মাসাবাও ওমান থেকে ফিরে তাঁর বিশ্বখ্যাত বাবার জন্মদিনে টুইট করেন, “আজ বিশেষ দিন। আমার দেখা অন্যতম সেরা অভিনেত্রী ন’বছর পর থিয়েটারে ফিরল আর আমার দেখা সেরা ব্যাটসম্যানের আজ এক বছর বয়স বাড়ল। আমি তোমাদের খুব ভালবাসি মম ও ড্যাড।” অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনও ভিভকে তাঁর ৬৩তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংস্থার সাম্মানিক সদস্যপদ দিয়ে সংবর্ধনা দেয়। জন্মদিনে তাঁর ব্যাটের আদলে তৈরি কেক কাটেন ভিভ। শুভাকাঙ্খীদের উদ্দেশ্যে তাঁর টুইট, “আমাকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।”
তবে জন্মদিনের সবচেয়ে বড় উপহার তাঁর কাছে হয়ে উঠতে পারত ভারতের বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়। যার কাছাকাছিও চলে এসেছিলেন ক্যারিবিয়ানরা। কিন্তু নিজেদের ভুলেই তা হল না বলে মনে করেন ভিভ। আইসিসি-র ওয়েবসাইটে নিজের কলামে তিনি লিখেছেন, “পারথের উইকেটে কোথায় টস জিতে আগে বল করবে, তা নয় দুম করে ব্যাটিং নিয়ে বসল আমাদের ক্যাপ্টেন। তাও যদি বড় রান করে ভারতকে চাপে ফেলতে পারত। এই উইকেটে কী ধরনের ক্রিকেট খেলা উচিত, সেটা ভারতই দেখাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে খেলা শিখতে হবে।”